Na Bollei noy: শহিদ দিবসে ‘দিদির বার্তা’র রাজনৈতিক তাৎপর্য ‘না বললেই নয়’

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Jul 21, 2022 | 7:13 PM

পঞ্চায়েত ভোট সামনে থাকলেও, টার্গেট আসলে ২০২৪। এবং সেই লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া মঞ্চে, ফোকাস নড়তে দিল না তৃণমূল।

Na Bollei noy: শহিদ দিবসে ‘দিদির বার্তা’র রাজনৈতিক তাৎপর্য ‘না বললেই নয়’

Follow Us

কলকাতা: একুশে জুলাই, তৃণমূলের শহিদ দিবস। ১৯৯৩ সালে ২১ শে জুলাই কী হয়েছিল? তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত। সেই প্রসঙ্গে ঢুকছি না। কারণ, যে কোনও কথাই বারবার শুনতে শুনতে, বিশ্বাস তৈরি হয়ে যায়। আর কে না জানে, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু। তাই, ইতিহাস ছেড়ে যাবতীয় মনোযোগ দেওয়া যাক বর্তমানে। ২ বছর পর, ডিজিটাল থেকে আবার ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ। সেই প্রচুর মানুষজন এলেন। ব্যাপক ভিড় হল। ভিড় আরও বেশি হত, যদি না তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে, কয়েকজন পথভোলা না থাকতেন। যারা ধর্মতলা না গিয়ে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা না শুনে দিনটা কাটিয়ে দিলেন ইকো পার্ক আর চিড়িয়াখানায়। বেশ একটা পিকনিক-পিকনিক মেজাজে। খালি পেটে কি আর মিটিং-মিছিল হয়? না বক্তৃতা শোনা যায়? তাই, কলকাতার এখানে ওখানে, কোথাও রাস্তায়, কোথাও উড়ালপুলের নীচে উনুন জ্বলল, রান্না হল, ঢালাও খাওয়া দাওয়া সারলেন তৃণমূল কর্মীরা। হ্যাঁ মেনুতে ছিল তৃণমূলের ট্রেড মার্ক ডিমভাত। মহুয়া মৈত্রই তো কদিন আগে বলেছেন, একুশে জুলাই মানে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা শোনা নয়। একুশে জুলাই মানে ডিম-ভাতও ।

তো সেই ডিম-ভাত খেয়ে যাঁরা সমাবেশে গেলেন, তাঁরা এবার কী পেলেন? কী শুনলেন? শুনলেন তৃণমূল সরকারে থাকা মানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থাকবে, কন্যাশ্রী থাকবে। মানে মেলা-খেলা আর ভাতার কোনও অভাব হবে না। আর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেঁধে দিলেন লক্ষ্য। পঞ্চায়েত ভোট সামনে থাকলেও, টার্গেট আসলে ২০২৪। এবং সেই লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া মঞ্চে, ফোকাস নড়তে দিল না তৃণমূল। যাবতীয় জল্পনাকে মিথ্যে প্রমাণ করে একুশের মঞ্চে এলেন না শোভন-বৈশাখী। দলবদলের হিড়িক চোখে পড়ল না। হল শুধুমাত্র বিজেপি এবং তৃণমূলের বাইনারি আরও পোক্ত করে দেওয়ার চেষ্টা। মাঝখানে সামান্য অংশে সিপিএম আমলে চাকরি বিক্রির প্রসঙ্গ এল বটে, কিন্তু সিপিএমকে ছাপিয়ে এলেন বিকাশ ভট্টাচার্য! কেন বলুন তো? এই সব নিয়েই কিছু কথা হবে, যে কথাগুলো না বললেই নয়। টিভি নাইন বাংলায়, রাত ৮.৫৭

Next Article