Recruitment Corruption Case: নিজাম থেকে বেরিয়ে দেবরাজের মুখে শাহজাহানের নাম, কী বলছেন অদিতির স্বামী?
Recruitment Corruption Case: এখনও বেপাত্তা সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান। লুকআউট নোটিসও বের করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবু দেখা নেই তাঁর। এদিন শাহজাহান নিয়েও প্রশ্ন গিয়েছিল দেবরাজের কাছে।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগেই নাম জড়িয়েছে বিধায়ক তথা শিল্পী অদিতি মুন্সীর স্বামী তৃণমূল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর। তল্লাশি চলেছে তাঁর বিধাননগরের বাড়িতে। এর আগে ২৫ জানুয়ারি তাঁকে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। এরইমধ্যে এদিন ফের তাঁকে তলব করা হয়। যদিও প্রায় ৬ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় দেবরাজকে। বেরোতেই সাংবাদিকদের চাঁচাছোলা প্রশ্নবাণের সামনেও পড়লেন। যদিও বিতর্কের মধ্যে তাঁর অকপট উত্তর তিনি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন।
তাঁর সুপারিশে চাকরির প্রসঙ্গ উঠতেই খানিক হাসিমুখেই বললেন, “অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার হওয়া মনেই যে তা চাকরির জন্য ব্যবহৃত হয়েছে এমনটা কখনোই প্রমাণ হয় না। সেটা তদন্ত সাপেক্ষ। ২০১২, ১০১৪, আমার কোনও ক্ষমতাই ছিল না কাউকে চাকরি দেওয়ার। আমার সুপারিশে কোনো চাকরি হয় নি, যে সময় দুর্নীতি হয়েছে বলা হচ্ছে সেই সময় আমার চাকরি দেওয়ার মত কোনো জায়গাতেই ছিলাম না।” তবে তিনি যে সর্বদাই তদন্তে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছেন তাও এদিন বারবার বলেন তিনি। স্পষ্টই বলেন, “আমার পার্সোনাল কিছু তথ্য ওনারা স্ক্রুটিনি করছেন। আমার থেকে যা চেয়েছিল আমি দিয়েছি। আরও কিছু চাওয়া বলে আমি দেব। এটা আমি জানিয়ে দিয়েছি। একজন নাগরিকের কাজ তদন্তে সহযোগিতা করা। আমি করেছি।”
এদিকে এখনও বেপাত্তা সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান। লুকআউট নোটিসও বের করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবু দেখা নেই তাঁর। এদিন শাহজাহান নিয়েও প্রশ্ন গিয়েছিল দেবরাজের কাছে। তবে তিনি বিশেষ কিছুই বলতে চাননি। শুধু বলেন, “কে কী করছে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না। আমি দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বে আছি। এর মধ্যে শেখ শাহজাহান পড়ে না। ও আসবে কি আসবে না সেটার দায়িত্ব তো দলের নয়। দলের একজন নেতা হিসাবে ওকে ডাকা হয়নি, ব্যক্তি হিসাবে ডাকা হয়েছে।”