নারদ মামলায় মুখ্য়মন্ত্রীর হলফনামা আদৌ কি গ্রহণ করা হবে? বুধে সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের

Jun 30, 2021 | 10:18 AM

বুধবার বৃহত্তর বেঞ্চ স্পষ্ট করবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হলফনামা জমা নেওয়া হবে কিনা।

নারদ মামলায় মুখ্য়মন্ত্রীর হলফনামা আদৌ কি গ্রহণ করা হবে? বুধে সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের
অলংকরণ: অভীক দেবনাথ

Follow Us

কলকাতা: নারদ মামলায় (Narada Case) মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রীর হলফনামা জমা নিয়ে আজ, বুধবার রায় দেবে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে শুনানি হয়। সিবিআইয়ের আইনজীবী যুক্তি দেন, সওয়াল শেষ হয়ে যাওয়ার পর এভাবে হলফনামা দেওয়া যায় না। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী যুক্তি দেন সিবিআই হলফনামা দেওয়ার পরই তাঁরা হলফনামা দিতে চেয়েছিলেন। শুধুই পদ্ধতিগত একটি বিষয় নিয়ে আদালতের সময় নষ্ট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি আই.পি মুখোপাধ্যায়।

নারদে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দিন নিজাম প্যালেস ও ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বাইরে বিক্ষোভের জেরে মামলায় মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রীকে পক্ষ করে সিবিআই। তাঁদের আইনজীবীরা হলফনামা দিতে চাইলেও হাইকোর্ট তা নেয়নি। তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে গেলে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয় বিষয়টি শুনে হাইকোর্টকে রায় দিতে হবে।

মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে শুনানি হয়। আদতে হলফনামা গ্রহণ করা হবে কিনা, তা নিয়েই শুরু হয় সওয়াল জবাব। মঙ্গলবারই বৃহত্তর বেঞ্চে একাধিকবার এই প্রশ্ন উঠে এসেছে। কেন সঠিক সময়ে হলফনামা দেওয়া হবে না? সেক্ষেত্রে কি আদালতের সময় নষ্ট করা হচ্ছে না? তাহলে কি জরিমানা ধার্য করা হবে? এই নিয়ে শুনানি মঙ্গলবারই শেষ হয়ে গিয়েছে। সব পক্ষের বক্তব্য শুনেছে আদালত। আজ, বুধবার বৃহত্তর বেঞ্চ স্পষ্ট করবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হলফনামা জমা নেওয়া হবে কিনা।

মামলার প্রেক্ষাপট

গত ১৭ মে নারদ মামলায় চার হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেফতারের পরই নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরের সামনে ধরনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিকে, সিবিআই আদালতে চার হেভিওয়েটের জামিনের শুনানি চলাকালীন উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। গোটা বিষয়টি সেসময় সিবিআই কর্তা হাইকোর্টে ভার্চুয়ালি গোটা বিষয়টি জানান।

এরপর হাইকোর্টে নারদ মামলায় আসে নাটকীয় মোড়। এই মামলায় যুক্ত করা হয় মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকেও। মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকে তাঁদের বক্তব্য জানানোর জন্য হলফনামা দিতে বলে আদালত। কিন্তু এই মামলায় সিবিআইয়ের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতার সওয়াল শেষ হওয়ার পরে হলফনামা পেশ করেন তাঁরা।

সওয়াল জবাব চলাকালীন তুষার মেহেতার সওয়ালের পর হলফনামা পেশ করে রাজ্য। তুষার মেহেতা তা খারিজের আবেদন জানান। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, নির্দিষ্ট সময়ের পরে দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর হলফনামা গ্রহণ করা হবে না। শুনানির প্রায় ১৫ দিনের শেষে ৯ জুন হলফনামা জমা দিতে গেলে তা খারিজ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: বুধেই মুখ্যমন্ত্রীর নারদ-হলফনামা মামলার রায়দান হাইকোর্টে

রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতকে জানিয়েছিলেন, হাই কোর্টের নিয়ম অনুসারে কোনও মামলার ৪ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়া যায়। কিন্তু ওই যুক্তি বিচারকরা গ্রহণ করেননি। মুখ্যমন্ত্রী মূলত তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিতেই হলফনামা জমা দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু হলফনামা দিতে দেরি হওয়ায় হাইকোর্ট তাতে সাড়া দেয় না। হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যমন্ত্রী। গত ২৫ জুন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার জবাবে সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টকে নির্দেশ দেয় এই বিষয়ে বিবেচনা করার জন্য।

Next Article