Narad Scam: নারদকাণ্ডে প্রথমে আত্মসমর্পণ, পরে জামিন পেলেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা এসএমএইচ মির্জা
ED: গত ১ সেপ্টেম্বর নারদ মামলায় প্রাক্তন পুলিশ কর্তা এসএমএইচ মির্জার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে চার্জশিট (ইডির পরিভাষায় কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট) জমা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
কলকাতা: নারদকাণ্ডে (Narad Scam) প্রথমে আত্মসমর্পণ এবং তার পরই জামিন পেলেন প্রাক্তন পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) মামলায় সোমবার বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন এই প্রাক্তন পুলিশ কর্তা।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১ সেপ্টেম্বর নারদ মামলায় প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের বর্তমান পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন পুলিশ কর্তা এসএমএইচ মির্জার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে চার্জশিট (ইডির পরিভাষায় কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট) জমা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমন জারি করে বিশেষ আদালত। আগামী ১৬ নভেম্বর আদালতে হাজির থাকতে বলে এই সমন জারি করা হয়। পুলিশ কর্তা মির্জা ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সমন তাঁদের বাড়িতেই পাঠানো হয়েছিল। অন্যদিকে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রের সমন বিধানসভার অধ্যক্ষকে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
যদিও বিধানসভার অধ্যক্ষ এই সমন পাঠানোর পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। একই সঙ্গে বলা হয় এই সমন পাঠানোর কাজ বিধানসভার এক্তিয়ারভুক্ত নয়। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারী অফিসারদের তলব করেন। কিন্তু দুই তদন্তকারী সংস্থার তরফে চিঠি দেওয়া হলেও কেউ হাজির থাকেনি। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধানসভা থেকে ওই সমন আদালতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সোমবার ওই সমনগুলি সরাসরি মন্ত্রী ও বিধায়ককে পাঠানোর জন্য তদন্তকারী সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
২০১৬-র বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির অফিস থেকে নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিও প্রকাশ করা হয়। সেখানে এক ডজনের উপর তৃণমূলে প্রভাবশালীকে টাকা নিতে দেখা যায়। যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি টিভি নাইন বাংলা। সেই সময় তৃণমূলে থাকা একাধিক নেতা এখন বিজেপিতে। এর মধ্যে মুকুল রায় ফের তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। গত ১৭ মে সুব্রত-মদন-ফিরহাদকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এর পরই নতুন করে ফের শিরোনামে উঠে আসে এই মামলা। অবশ্য তিনজনই জামিনে মুক্ত।
এর মধ্যে তিন জনপ্রতিনিধি ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নারদ মামলায় ইডি চার্জশিট দেয়। সেই সূত্রে ইডির যে বিশেষ আদালত রয়েছে, তারা সমন পাঠায় বিধানসভাতে। মূলত অভিযুক্তদের কাছে তা পৌঁছে দিতেই বিধানসভায় তা পাঠানো হয়। এরপরই বিধানসভা কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, চার্জশিটে এই তিনজনের নাম রয়েছে। কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের চার্জশিটে রাখতে গেলে যে আইন রয়েছে, সেই আইন এ ক্ষেত্রে লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন: Post Poll Violence: ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ মামলায় পুণে থেকে গ্রেফতার নদিয়ার অভিযুক্ত
আরও পড়ুন: BIG NEWS: কয়লাকাণ্ডে প্রথম গ্রেফতারি সিবিআইয়ের, লালার বিপদ বাড়িয়ে ধৃত চার