AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

College Admission: কলেজে কলেজে প্রায় ৬ লক্ষ আসন ফাঁকা, তীব্র চাপানউতোর শিক্ষা মহলে

College Admission: এদিকে গোটা রাজ‍্যে কলেজের আসন ৯ লক্ষ ৪০ হাজারের বেশি। অর্থাৎ প্রায় ৬ লক্ষ আসন ফাঁকা থেকে যাওয়ার আশঙ্কা। তাতেই শিক্ষামহলে তৈরি হয়েছে উদ্বেগের বাতাবরণ। সূত্রের খবর, সব বিষয় মিলিয়ে গত বছর আবেদন জমা পড়েছিল ৩৪ লক্ষ ৬০ হাজার ১৪০।

College Admission: কলেজে কলেজে প্রায় ৬ লক্ষ আসন ফাঁকা, তীব্র চাপানউতোর শিক্ষা মহলে
উদ্বেগ শিক্ষামহলে Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 31, 2025 | 8:59 PM
Share

কলকাতা: আশঙ্কাটা দানা বাঁধছিল অনেক দিন থেকেই। শেষ পর্যন্ত সেই আশঙ্কাই সত্যি হল! তবে কি রাজ‍্যের কলেজগুলি এবার মাছি তাড়াবে? ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এসেছে টিভি ৯ বাংলার হাতে। তথ্য বলছে, এক ধাক্কায় অনেকটাই নেমে গেল কলেজে ভর্তির আবেদন। ১ বছরে আবেদনকারীর সংখ‍্যা কমে গেল ১ লক্ষ ৬৮ হাজার। গত বছর বাংলার কলেজে ভর্তির জন‍্য আবেদন করেছিলেন ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ৫৭৮। এ বছর আবেদনের সংখ‍্যা কমে ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ১১৪। 

এদিকে গোটা রাজ‍্যে কলেজের আসন ৯ লক্ষ ৪০ হাজারের বেশি। অর্থাৎ প্রায় ৬ লক্ষ আসন ফাঁকা থেকে যাওয়ার আশঙ্কা! তাতেই শিক্ষামহলে ঘুরছে উদ্বেগের মেঘ। সূত্রের খবর, সব বিষয় মিলিয়ে গত বছর আবেদন জমা পড়েছিল ৩৪ লক্ষ ৬০ হাজার ১৪০। এ বছর তা কমে ২০ লক্ষ ৬৯ হাজার ৭৬০। অর্থাৎ আবেদন কমে গিয়েছে প্রায় ১৪ লক্ষ। উচ্চশিক্ষা দফতরের একাংশের বক্তব্য উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার, তার অধিকাংশই আবেদন করেছে। বাইরের রাজ‍্য থেকে ৪ হাজারের বেশি আবেদন এসেছে। 

এ বিষয়ে এবিভিপি নেতা দেবাঞ্জন পাল আবার ওবিসি জটিলতার দিকে আঙুল তুলছেন। সরাসরি রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলছেন, “ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক যে সরকারি শিক্ষা তা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। রাজ্য সরকার চাইছে যাতে এই সরকারি শিক্ষা শেষ হয়ে যায়। তার পরিবর্তে বেসরকারিকরণ হোক শিক্ষার, এটা রাজ্য সরকার চেয়েছে। তার কারণেই এই ওবিসি জটিলতা তৈরি করা হয়েছে। প্রকৃত হিন্দু ওবিসিদের বঞ্চনা করে নিজের ভোটব্যাঙ্ককে তোষণ করার জন্য এই কৃত্রিম সমস্যা তৈরি করা হয়েছে।” 

তোপ দাগতে ছাড়েনি বামেরাও। তারাও বলছে একই কথা। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলছেন, “সরকারি উচ্চশিক্ষার মতো ব্যবস্থাকে তুলে দেওয়ার মতো বন্দোবস্ত করা হয়েছে। জোর করে বেসরকারিকরণ হচ্ছে। ঘেঁটি ধরে বেসরকারি কলেজে ভর্তির বন্দোবস্ত করছে। এবারের বিলম্বের ফলে প্রাইভেট কলেজগুলি আরও বেশি করে সুযোগ সুবিধা নিয়ে নিল।”  

৩০ জুলাই আবার আবেদন সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু একটি টুইট করেছেন। সেখানে তিনি লিখছেন, ‘যে সমস্ত আবেদনকারী তাঁদের জাতিগত অবস্থান উল্লেখ করেননি, তাঁদের অবিলম্বে এই অবস্থান পোর্টালে নিজেদের আবেদনপত্রে স্পষ্ট করে দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রথম মেধাতালিকা পোর্টালে ৭ অগস্ট প্রকাশিত হবে।’