শেষমেশ কলকাতাতেও হানা ব্রিটেনের করোনা-স্ট্রেনের
দিন দশেক আগে ব্রিটেন থেকে ফেরার সময় কলকাতা বিমানবন্দরে দুই ব্যক্তির দেহে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরই তাঁদের দেহে উদ্বেগের স্ট্রেন রয়েছে কি না তা জানতে আইসোলেশনে রাখা হয়।
কলকাতা: কলকাতার যুবকের নমুনায় হদিস মিলল ব্রিটেনের করোনা স্ট্রেনের। কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থাগুলির প্রতিনিধিদের একাংশ জানান, কলকাতা বিমানবন্দরে ব্রিটেন ফেরত যুবক-সহ মোট সাতজনের নমুনা সিকোয়েন্সের জন্য এনআইবিএমজি’তে পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসক-চিকিৎসকের পুত্রের নমুনায় উদ্বেগের স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, “কলকাতার যুবকের দেহে ব্রিটেনের স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বর্ষবরণের উৎসবের কথা মাথায় রেখে দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করব। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে যা যা করণীয় সবই করা হবে।”
আরও পড়ুন: করোনার গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে? উদাসীন নেতা-মন্ত্রীরা, উদ্বেগে চিকিৎসকরা
স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রের খবর, কল্যাণীতে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্সের পর্যবেক্ষণকেই মান্যতা দিয়েছে এনসিডিসি। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে সে কথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এক প্রশাসক-চিকিৎসক জানান, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ব্রিটেন ফেরত যুবকের মা’কেও কিছু বলতে চাননি স্বাস্থ্য দফতরের কর্তা ব্যক্তিরা। তবে কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থার প্রতিনিধিরা জানিয়েছিলেন, খুব বড় কিছু না হলে কলকাতার যুবকের নমুনায় ব্রিটেনের স্ট্রেন রয়েছে, এর অন্যথা হওয়ার কথা নয়। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। যদিও বাকিদের জিনোম সিকোয়েন্সের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলেই জানা গিয়েছে। এনআইবিএমজি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন যুবকের নমুনায় ব্রিটেনের স্ট্রেনের উপস্থিতির বিষয়ে নিশ্চিত হতে সেই নমুনা দিল্লিতে অবস্থিত ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলে পাঠানো হয়েছিল। সেই রিপোর্টও পজিটিভ।
আরও পড়ুন: ‘উত্তর প্রদেশ ঘৃণার রাজনীতির কেন্দ্র হয়ে উঠেছে’, যোগীকে চিঠি লিখলেন ১০৪ প্রাক্তন আইএএস
দিন দশেক আগে ব্রিটেন থেকে ফেরার সময় কলকাতা বিমানবন্দরে দুই ব্যক্তির দেহে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরই তাঁদের দেহে উদ্বেগের স্ট্রেন রয়েছে কি না তা জানতে আইসোলেশনে রাখা হয়। দু’জনের মধ্যে একজন হলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক কর্তার পুত্র। তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেরই কোভিড ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অপরজন রাজারহাট-সিএনসিআইয়ে ছিলেন। দ্বিতীয় ব্যক্তির সিএনসিআইয়ে আরটি-পিসিআর করানো হলে রিপোর্ট অসম্পূর্ণ আসে। স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পুনরায় নমুনা পরীক্ষা হলে দ্বিতীয় ব্যক্তি কোভিড নেগেটিভ বলে জানা যায়। কিন্তু প্রথমজনকে নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল ভিতরে ভিতরে। মঙ্গলবার রাতে খবর আসে, তাঁর নমুনায় ব্রিটেনের কোভিড স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে। যদিও এদিন রাতে খবরের সত্যতা নিয়ে একটি ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। তবে বুধবার স্বাস্থ্যসচিবই জানান এ সংক্রান্ত খবর তাঁদের কাছে এসেছে।