কলকাতা: ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে মিউকরমাইকোসিস (Mucormycosis)। শুধু দিল্লিতেই এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০। কোভিডের পাশাপাশি মিউকরমাইকোসিস নিয়েও রীতিমত উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রাজ্যওয়াড়ি বিচারে সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি গুজরাটের। তার পরেই মহারাষ্ট্র। তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের ছবি এখনও ততটা খারাপ নয়। তবে এ রাজ্যেও নিয়মিত বাড়ছে মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্তের সংখ্যা। রবিবার স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছিল, শেষ ৪৮ ঘণ্টায় রাজ্যে ১২ জন মিউকরমাইকোসিস-আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে।
গত শনিবার হরিদেবপুরের এক কোভিড আক্রান্ত তরুণীর মৃত্যু হয়। তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে। তাঁর দেহে যে সমস্ত উপসর্গ ছিল তা দেখে এই হাসপাতালের বিশেষজ্ঞদের যে কমিটি রয়েছে তারা সন্দিহান হয়ে পড়েন। বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেন, ওই তরুণী মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত। এরপরই একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের রিপোর্ট স্বাস্থ্য দফতরকে পাঠানোরও ব্যবস্থা করা হয়। এই তরুণী যে মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এরইমধ্যে রবিবারও শহরে আরও তিন মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায়। এখনও অবধি রাজ্যে প্রায় ২০ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। সন্দেহভাজন ৬ জন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ৪ জন, এসএসকেএম-শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ২ জন, বেলভিউ ক্লিনিকে ১ জন, কম্যান্ড হাসপাতালে ১ জন, বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে ৩ জন, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ১ জন, দিশা চক্ষু হাসপাতাল ৮ জন চিকিৎসাধীন। এছাড়া ৬ জন সন্দেহভাজনও রয়েছেন তালিকায়।
আরও পড়ুন: আমফানকে দশ গোল দিয়েছিল, ইয়াসকে কি ট্যাকেল করতে পারবে হাওড়া ব্রিজ?
মিউকরমাইকোসিস মোকাবিলায় এসএসকেএমকে ‘অ্যাপেক্স হাব’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। রিজিওনাল হাব হিসাবে কাজ করবে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ করোনার সঙ্গে সঙ্গে এই নতুন বিপদ থেকে যে সহজে রেহাই নেই তাও এক প্রকার স্পষ্ট।