এখনও টাটকা আমফানের স্মৃতি। সেই ভয়াল সুপার সাইক্লোনের বর্ষপূর্তিতেই বুধবার সন্ধ্যায় পারাদ্বীপ ও সাগরের মধ্যে ল্যান্ডফল করবে ইয়াস (Cyclone Yaas)। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপের তালিকা অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর নামটি প্রস্তাব করেছে ওমান। এই পারসি শব্দটির অর্থ ‘হতাশা’ বা ‘দুঃখ’। বাংলা ওড়িশা উপকূলে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় রূপে আছড়ে পড়বে ইয়াস। সেখান থেকে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির দিকে এগিয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে সরে যাবে ইয়াস। ফলে, বেশি দুর্যোগ হবে উপকূলীয় জেলা, ঝাড়গ্রাম ও দুই মেদিনীপুরের অংশে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দিঘা থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে এটি অবস্থান করছে। দিল্লি মৌসম ভবন সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ইয়াস।
বিপর্যয়ের মোকাবিলা করতে যে প্রশাসন সর্ব শক্তি নিয়ে প্রস্তুত, সে ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন মমতা (Mamata Banerjee)। তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে যে সব শক্তিই অসহায় হয়ে পড়তে পারে, তা মেনে নিয়ে মমতা বলেন, ‘নেচার আমাদের হাতে নেই। সব ঈশ্বর-আল্লাই জানেন।সোমবার, নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, আমফানের থেকেও এই ঝড় আরও প্রবল আকার ধারণ করবে। এ দিন তিনি জানান, মূলত ২০ জেলায় মারাত্মক প্রভাব পড়বে এই ‘সিভিয়ার’ সাইক্লোনের। মমতা জানিয়েছেন, নবান্ন এবং উপান্ন থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টা সারাক্ষণ নজরদারি চলবে। ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। আপদকালীন ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হল— ১০৭০ এবং ০৩৩-২২১৪৩৫২৬। উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে স্পেশাল টিম। ১৫ দিন আগে থেকে বার বার বৈঠক হয়েছে বলেও জানান তিনি। উপকূলীয় এলাকাগুলিতে চলছে বাঁধ মেরামতির কাজ। জেলায় জেলায় পৌঁছে গিয়েছে এনডিআরএফ টিম। বাতিল করা হয়েছে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন।
এক নজরে দেখে নিন ‘ইয়াস’ সংক্রান্ত সব আপডেট
উত্তর ২৪ পরগনা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবিলা করতে যখন তৎপর প্রশাসন তখন নয়া নজির গড়ল বারাসাত জেলা হাসপাতাল। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই হাসপাতালে বাড়ানো হল শয্যা সংখ্যা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দিনভর বিদ্য়ুৎ পরিষেবা সচল রাখতে অতিরিক্ত ২টি জেনারেটর বসানো হল। অক্সিজেন পরিষেবার যাতে কোনওররম ঘাটতি না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। থাকছে একটি বিশেষ মেডিক্যাল টিমও। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে অপারেশন থিয়েটার। রোগীর পরিবার ও আত্মীয়দের জন্য খোলা রাখা হচ্ছে ক্য়ান্টিন। থাকছে খাবারের ব্যবস্থাও। এমনকী, প্রয়োজনে হাসপাতালেই তাঁরা নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারবেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা: আর মাত্র দুদিন। তারপরেই বঙ্গের বুকে আছড়ে পড়বে ‘ইয়াস’। আমফানের ভয়াল স্মৃতি উসকে দিয়ে ইয়াসের এই আগমনে রীতিমতো কোমর বেঁধে প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। ক্ষয়ক্ষতি রুখতে আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করেছে নবান্ন। এ বার, কলকাতার অন্যতম দর্শনীয় আলিপুর চিড়িয়াখানার জন্তুদের ঝড়ের থেকে বাঁচাতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। চিড়িয়াঘরের ১১টি অ্যানাকোন্ডা-সহ একাধিক বিষাক্ত সাপকে বাক্সবন্দি করে রাখা হচ্ছে। একইসঙ্গে, বাঘ, সিংহ, চিতাবাঘ, শিম্পাঞ্জি,হাতি,গন্ডার, জেব্রা, জিরাফ, হায়না সমস্ত জন্তুকে খাঁচার মধ্যে বন্ধ করে রাখা হবে যাতে সময়টুকু তারা কোনওভাবে আঘাতপ্রাপ্ত না হয়। তবে পাখিদের ক্ষেত্রে এ ধরনের বিশেষ কোনও ব্যবস্থার কথা জানা যায়নি।
উত্তর ২৪ পরগনা: বাহাত্তর ঘণ্টা পরেই বাংলায় আছড়ে পড়বে ইয়াস। তার আগে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সতর্কতা জারি করতে পথে নামল প্রশাসন। সোমবার, সুন্দরবন, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদের জলপথে ও স্থলপথে মাইকিং করে প্রচার চালাল সন্দেশখালি ও হেমনগর কোস্টাল সহ সুন্দরবনের একাধিক থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ইন্সপেক্টর প্রমোদ কুমারের নেতৃত্বে রায়মঙ্গল, কালিন্দী ও ছোট কলাগাছি সহ একাধিক নদীতে সতর্কতায় মাইকিং প্রচার চলছে। সন্দেশখালিতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ২৭ জন ও হাসনাবাদে ২৫ জনের একটি দল নদী ও স্থলপথে সুন্দরবনের মানুষকে সতর্ক করছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ইয়াস আগমনের বাহাত্তর ঘণ্টা আগেই ফুলে ফেঁপে উঠেছে মাতলা নদী। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে জলস্ফীতি আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা মৎস্যজীবীদের। এহেন পরিস্থিতিতে প্রাণ হাতে নিয়েই ঘরে করছেন তাঁরা। কিন্তু, প্রতিমুহূর্তে প্রাণ সংশয়ের ভয়। কয়েকশো মাছচাষির এখন জীবন-মৃত্য়ু সংকট। এই পরিস্থিতিতে, ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস ক্যানিংয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা চষে দেখলেন। বাদ রাখলেন না প্রান্তিক এলাকাগুলিও। নদীতীরে বসবাসকারী মৎস্যজীবীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও করেন বিধায়ক। প্রায় কয়েকশো মাছচাষির হাতে তুলে দেন পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার ও ত্রিপল। এদিন, বিধায়কের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান উত্তম দাস ও অন্যান্য়রা।
এদিন, বিধায়ক পরেশরামবাবু বলেন, “আমি মানুষের ভোটে জিতে এসেছি। আমি তাঁদের কাছে দায়বদ্ধ। বিপদের আগে কিংবা পরে আমি সাধারণ মানুষের কাছে থেকে কাজ করতে চাই। আমার বিধানসভা এলাকায় একটি পরিবারও যেন ইয়াসের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা দেখার দায়িত্ব আমারই।” উল্লেখ্য়, বিগত দুদিন ধরেই ইয়াসের মোকাবিলা করতে নিজেই নৌকায় চড়ে মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করেছেন বিধায়ক।
পূর্ব মেদিনীপুর: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বারবার উসকে দিচ্ছে আমফান স্মৃতি। পুরনো ভুল যাতে আর না হয়, তাই ইয়াস মোকাবিলায় প্রথম থেকেই সতর্ক প্রশাসন। জেলায় জেলায় জনগণকে সচেতন করার কাজে পথে নেমেছেন জনপ্রতিনিধিরাও। সোমবার, ইয়াস মোকাবিলায় পথে নামল যুব তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি রামনগর বিধানসভার তাজপুর, দাদনপাত্রবাড় সহ বিভিন্ন এলাকায় মাইক হাতে ঘুরে ঘুরে প্রচার করেন। যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের দাপট রুখতে ইতিমধ্যেই এলাকায় এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির। দুর্গত এলাকাগুলি থেকে মানুষ, গবাদি পশু সবই সরানোর কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। এলাকাবাসীর জন্য চালু করা হয়েছে দুটি টোল ফ্রি নম্বর। ফোন করে সমস্য়ার কথা বললেই পৌঁছে যাবেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কর্মীরা। পাশাপাশি, করোনার কথা মাথায় রেখে এদিন মাস্ক ও স্যানিটাইজারও বিলি করেন তৃণমূল নেতা।
পূর্ব বর্ধমান: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সঙ্গে মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করেছে পুলিশ প্রশাসন। এ বার, জেলা পুলিশের মানবিক মুখ দেখল শহর। সোমবার, পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ ও থানার যৌথ উদ্যোগে প্রায় ৫০০ জন পথশিশুর হাতে শুকনো খাবারের প্যাকেট তুলে দিলেন পুলিশ কর্তারা। প্যাকেটের মধ্যে ছিল মুড়ি, চিঁড়ে, কলা ও মিষ্টি-সহ একাধিক খাবার। এছাড়া, পথশিশুদের বিতরণ করা হল মাস্কও। এছাড়াও কোড়া পাড়ার ৩০০ জন শিশুকেও এদিন খাদ্য সামগ্রী দান করা হয়। এই খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহরায়, ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সৌভিক পাত্র,বর্ধমান থানার আইসি পিন্টু সাহা ,ট্রাফিক ডিএস পি।
কলকাতা: ‘নদীর বুকে আছেন ঝুঁকে বিদ্যাসাগর,তার উত্তুরে সে থুত্থুরে আর এন ট্যাগোর।’ থুত্থুরেই বটে, কারণ ৭৫ বছর পেরিয়ে গিয়েছে রবীন্দ্র সেতুর। বহু ঝড়-ঝাপটা সামলে নিয়েছে হাওড়া ব্রিজ (Howrah Bridge)। আবারও একটা ঝড় আসছে। এ বার কী হবে ঐতিহাসিক এই ব্রিজের? এই প্রশ্ন উঠছে। তবে আমফানের সেই ধ্বংসলীলা আপাতত বুকে চেপে রেখেছে হাওড়ার ঝুলন্ত এই সেতু। এবার কি ইয়াসের ধাক্কা সামলে নিতে পারবে হাওড়া ব্রিজ?
বিস্তারিত পড়ুন: আমফানকে দশ গোল দিয়েছিল, ইয়াসকে কি ট্যাকেল করতে পারবে হাওড়া ব্রিজ?
পুরুলিয়া: একা করোনায় রক্ষা নেই, দোসর ‘ইয়াস’। বছর না ঘুরতেই, আমফান পরবর্তী এই ঘূর্ণিঝড় কপালে ভাঁজ ফেলেছে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের। করোনা পরিস্থিতিতে ইয়াসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে বিশেষভাবে সতর্ক প্রশাসন। সোমবার নবান্নের তরফে নির্দেশিকা পাওয়ার পরেই তড়িঘড়ি উচ্চস্তরের বৈঠক সারলেন প্রশাসনিক কর্তারা। জেলাশাসক রাহুল মজুমদারের পৌরহিত্যে এই বৈঠকে যোগ দেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডু, জেলা সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় সহ জনপ্রতিনিধিরাও। প্রায় একঘন্টা ধরে টানা বৈঠকের পর জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে প্রতিটি ব্লকে কন্ট্রোল রুম খোলার সিদ্ধান্ত হয়। একই ভাবে ব্লকে ব্লকে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপও থাকবে বলে জানানো হয়। কোভিড পরিস্থিতিকে মাথায় রেখেই দিনভর অ্যাম্বুলেন্স ও অক্সিজেন পরিষেবা নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। এমনকী, রাতেও যাতে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবায় কোনও ঘাটতি না হয় সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে এমনটাই জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগান।
দার্জিলিং: ‘ইয়াস’-এর দাপট থেকে বাদ যাবে না শৈলশহরও। ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় তাই প্রশাসনিক কর্তাদের তৎপর হতে নির্দেশ দিলেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি বিধায়ক রাজু বিস্তা। সোমবার, প্রশাসনিক অধিকর্তাদের উদ্দেশে একটি চিঠি দেন বিধায়ক। চিঠিতে লেখেন, “আমফান, আয়লা, বুলবুলের মতো ভয়ঙ্কর আরও একটি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে বাংলার বুকে। ভয় না পেয়ে তাই আগে থেকেই সতর্ক হোন। ইতিমধ্যেই, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁদের একটি টিম থাকছে দার্জিলিং-এ, অন্যটি শিলিগুড়িতে। এছাড়া, প্রাণহানি আটকাতে দুর্গত এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়াও, জেলা শাসক ও মহকুমা শাসকের সঙ্গে বৈঠকও করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায়, জনসাধারণকে অনুরোধ, শুকনো খাবার, ওষুধ, মোমবাতির মতো অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজনীয় পণ্য মজুত রাখুন। প্রশাসন এ বিষয়ে যথাযথ দায়িত্ব পালন করুক। এছাড়াও, প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গতদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। অতি দ্রুত যাতে পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করা যায়, সেই চেষ্টা করা হবে।”
শক্তি বাড়িয়ে বুধবারই তাণ্ডব চালাবে অতি সক্রিয় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Cyclone Yaas)। রাজ্যজুড়ে সতর্কতা জারির পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবিলায় সবরকম প্রস্তুতি সেরে রাখছে প্রশাসন। তৈরি কলকাতা পুরসভাও। ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে গাছ কাটার সুবিধার জন্য বিশেষ আলো আনা হয়েছে পুরসভার তরফে। ঝড়ের সময় রাস্তার আলো বন্ধ থাকলে এই আলো ব্যবহার করে গাছ কাটা, নিকাশির কাজ করা হবে। সোমবার ইয়াস-মোকাবিলার খুঁটিনাটি সমস্ত প্রস্তুতির খোঁজ নেন পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। আদালতের নির্দেশে তিনি গৃহবন্দি। তবে ভার্চুয়ালিই নিজের কর্তব্য পালন করে চলেছেন তিনি। এদিন কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য ও উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। ছিলেন দেবাশিস কুমারও।
বিস্তারিত পড়ুন: জোরকদমে প্রস্তুতি কলকাতা পুরসভার, ইয়াস মোকাবিলায় বিশেষ আলো এল মহানগরে
আর ৪৮ ঘণ্টাও বাকি নেই। রাজ্যের উপকূল ঘেঁষে ওড়িশার বালাসোরে আছড়ে পড়তে চলেছে ইয়াস। অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে চলেছে রাজ্যের প্রায় ২০ টি জেলায়। আমফানের তাণ্ডব থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার প্রস্তুতির আর কোনও খামতি রাখতে চাইছে কোনও পক্ষ। যাবতীয় প্রস্তুতির কাজ সেরে রাখা হয়েছে। এক বছর আগের তিক্ত অভিজ্ঞতার পুরনাবৃত্তি এ বারও হোক তা কোনও ভাবে চাইছে না সিইএসসিও। সোমবারের মধ্যেই সব রকমের প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছে বলে এ দিন জানানো হয়েছে সিইএসসি-র পক্ষ থেকে।
বিস্তারিত পড়ুন: আমফানের ‘ভুল’ শোধরাতে মরিয়া সিইএসসি, ইয়াসের মোকাবিলায় কোমর বেঁধে প্রস্তুতি
পূর্ব মেদিনীপুর: ইয়াস মোকাবিলা দিঘায় নামানো হল তিনটি নেভির টিম। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সব মিলে তৈরি হল ৫টি NDRF ও ৪টি SDRF টিম। ৫ টি এনডিআরএফ টিমের একটি হলদিয়া, একটি রামনগর ১ নম্বর ব্লকে, একটি দিঘায়, একটি রামনগর ২ নম্বর ব্লকে এবং একটি টিম রাখা হয়েছে কাঁথি ২ নম্বর ব্লকে। এছাড়াও এসডিআরএফের ৪টি টিমকে প্রয়োজন মতো পরিস্থিতি অনুযায়ী পাঠানো হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। প্রাণহানি আটকাতে দুর্গত এলাকা থেকে মানুষজনকে সরিয়ে এনে জেলার ৯৫০টি আশ্রয় শিবিরে রাখা হচ্ছে। এই সব শিবিরে ১ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে এনে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্বমেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।
বিস্তারিত পড়ুন: দিঘা সহ পূর্ব মেদিনীপুরে ৯৫০টি ত্রাণ শিবিরে ১ লক্ষ মানুষকে রাখার ব্যবস্থা করছে জেলা প্রশাসন
হুগলি: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ নিয়ে মানুষকে সতর্ক করতে নিজেই মাইক হাতে গঙ্গার পাড়ে নামলেন বিধায়ক। চুঁচুড়া কণকশালী ঘটকপাড়া, শ্যামবাবুর ঘাট, ষন্ডেশ্বরতলায় বেশকিছু পরিবার গঙ্গার পাড়ে বাস করে। তাদের সতর্ক করার পাশাপাশি স্থানীয় স্কুল বাড়িতে আশ্রয় শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিলেন বিধায়ক অসিত মজুমদার।
বিস্তারিত পড়ুন: ইয়াস নিয়ে হুগলিতে কড়া সতর্কতা, মাইক হাতে নিজেই প্রচারে নামলেন বিধায়ক
৭২ ঘণ্টা ধরে চলবে ইয়াস-এর তাণ্ডব। তাই কেউ যেন জীবনের ঝুঁকি না নেন, সেই বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিপর্যয়ের মোকাবিলা করতে যে প্রশাসন সর্ব শক্তি নিয়ে প্রস্তুত, সে ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে যে সব শক্তিই অসহায় হয়ে পড়তে পারে, তা মেনে নিয়ে মমতা বলেন, ‘নেচার আমাদের হাতে নেই। সব ঈশ্বর-আল্লাই জানেন।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘ওড়িশাকে ৬০০ কোটি, বাংলাকে ৪০০ কোটি!’, ‘আমি সায়েন্স বুঝি না’, বললেন মমতা
পূর্ব মেদিনীপুর: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াসের’ ভয়াল তাণ্ডবের আঁচ পেয়েই দলের কর্মীদের সঙ্গে নন্দীগ্রামের (Nandigram) ভাঙাবেড়ার অতিথি নিবাসে জরুরি বৈঠক সারলেন বিজেপি বিধায়ক। এদিন, বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, “গত বছর আমফানে নন্দীগ্রাম-সহ সর্বত্র ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডব মিটে যাওয়ার পর ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। জলঘোলা হয়েছে। ইয়াসের ক্ষেত্রে তা হতে দেওয়া চলবে। এ বারে, আমি নিজে গ্রামবাসীদের সঙ্গে থাকব। আমার কর্মীদেরও অনুরোধ করব তাঁরা এই দুঃসময়ে পাশে থাকুন। একমাত্র সমন্বয় সাধনের মাধ্যমেই আমরা ইয়াসের মোকাবিলা করতে পারি। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য় এখন থেকেই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা কাজ করছেন। উপকূলবর্তী গ্রামবাসীদের সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
বিস্তারিত পড়ুন: ধেয়ে আসছে ‘ইয়াস’, পাশে থাকবেন তিনি, গ্রামবাসীদের অভয়বার্তা দিলেন কাঁথির ‘ভূমিপুত্র’ শুভেন্দু
শিলিগুড়ি: মাত্র ৭২ ঘণ্টা। তারমধ্য়েই আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। ঝড়ের মোকাবিলায় প্রথম থেকেই সতর্ক পদক্ষেপ করেছে শিলিগুড়ি প্রশাসন। ইতিমধ্যেই, প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক সেরেছেন পৌরপ্রশাসক গৌতম দেব। সবসময়ের জন্য খোলা রাখা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম। শিলিগুড়ি শহরের মোট ১২ টি জলের ট্যাংকে জল ধরে রাখার পাশাপাশি জরুরি অবস্থার কথা চিন্তা করে এক লক্ষ জলের পাউচ। জলসংকট যাতে দেখা না যায়, তারজন্যই এই সিদ্ধান্ত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, শহরের বড় গাছের ডালপালা কেটে ফেলা, বিপদজ্জনক এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সোমবার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর পুরপ্রশাসক গৌতম দেব বলেন, “ইয়াস মোকাবিলায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুকনো ফল, খাবার ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করা হয়েছে। রাখা হয়েছে ত্রিপলও। খোলা হচ্ছে ত্রাণ শিবিরও। শহরের নিরাপত্তা বলয় সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। প্রশাসনিক কর্মীদের মধ্যে যাঁরা জরুরি বিভাগে কর্মরত, তাঁদের সকলের ছুটি আপাতত বাতিল করা হয়েছে।” এদিন, বৈঠকে প্রাক্তন মন্ত্রীর পাশাপাশি, পূর্ত, সড়ক ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। জনজীবন সচল রাখতে যা যা পদক্ষেপ করা প্রয়োজন সেই সবকটি পালন করছে শিলিগুড়ি প্রশাসন এমনটাই জানা গিয়েছে।
কোভিড আতঙ্কের মাঝেই সাইক্লোনের ভয় প্রহর গুণছে বাংলা। ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে সাইক্লোন ‘ইয়াস’। বিপদ ক্রমশ এগিয়ে আসছে। আজ, সোমবার বিকেলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হল, সেই ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান। ল্যান্ডফলের সময় আগের অনুমানের থেকে এগিয়ে এসেছে, সে কথাও জানালেন আবহাওয়া দফতরের ডিডিজিএম সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিস্তারিত পড়ুন: বুধবার কখন, ঠিক কোথায় আছড়ে পড়বে ‘ইয়াস’, জানাল আবহাওয়া দফতর
পশ্চিম বর্ধমান: ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় প্রস্তুত দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন। রাজ্য সরকার নির্দেশিত সমস্ত গাইডলাইন মেনেই এলাকা জুড়ে চলল মাইকিং, সতর্কতা প্রচার। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেই মেরামতি ও পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক করার জন্য উপস্থিত থাকছে বিদ্যুৎ দফতরের বিশেষ দল। চালু হয়ে গিয়েছে ২৪X৭ কন্ট্রোল রুম। যেসব এলাকায় জল জমে সেই এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খুলে দেওয়া হয়েছে এলাকার বিদ্যালয়গুলিও। সেখানে অস্থায়ী শিবির তৈরি করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফ বা বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ঝড়ে, বাড়ি বা রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়লে দ্রুত যাতে তা সরানোর ব্যবস্থা করা যায়, তার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সতর্ক করা হয়েছে বহুতল আবাসনের বাসিন্দাদেরও। কৃষিজমি ও শিল্পাঞ্চলের কারখানা গুলিকেও সতর্কতা অবলম্বনের বার্তা দেওয়া হয়েছে।
আমফানের টাকা না পাওয়া নিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে মমতাকে। এবার ‘ইয়াসে’র আগেই শুরু হয়ে গেল কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। ফের বাংলা বঞ্চনার শিকার বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অমিত শাহের বৈঠকের পর মমতা জানিয়েছেন, ‘ইয়াসের জন্য ওডিশাকে ৬০০ কোটি ও বাংলাকে ৪০০ কোটি টাকা অগ্রিম দেওয়া হবে।’ বাংলা বড় জেলা হওয়া সত্ত্বেও কেন এই ভেদ, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘ওড়িশাকে ৬০০ কোটি, বাংলাকে ৪০০ কোটি!’, ‘আমি সায়েন্স বুঝি না’, বললেন মমতা
আমপানের পর ১ বছর কাটতে না কাটতেই হাজির ইয়াস। বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে তীব্র ঘূর্ণিঝড় রূপে আছড়ে পড়বে ইয়াস। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দিঘা থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে এটি অবস্থান করছে। ইয়াস মোকাবিলায় চূড়ান্ত সতর্ক প্রশাসন। নবান্নের তরফে খোলা হয়েছে একাধিক কন্ট্রোল রুম। কখন, কোথায়, কত গতিবেগে বয়ে যাবে ইয়াস? সেই সব তথ্য রাখুন নিজের হাতের মুঠোয়। ঘূর্ণিঝড়ের সব আপডেট পেতে নজর রাখতে পারেন এই অ্যাপগুলির মাধ্যমে।
বিস্তারিত পড়ুন: ইয়াসের গতিপথ রাখুন নখদর্পণে, কখন কোথায় থাকবে ঘূর্ণিঝড়? জানুন এক ক্লিকে
বুধেই বিপর্যয়। বাংলার বুকে আছড়ে পড়ার কথা অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের (Cyclone Yaas)। কোভিডকালে রোগীদের যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয় সেদিকে নজরে রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুরোদমে প্রস্তুত হচ্ছে হাসপাতালগুলিও।
বিস্তারিত পড়ুন: ইয়াস মোকাবিলায় প্রস্তুত হাসপাতালগুলি, চিকিৎসক-নার্সদের থাকা খাওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের (Cyclone Yaas) মোকাবিলায় কলকাতা ট্রাফিক পুলিশকে একগুচ্ছ নির্দেশিকা পাঠাল লালবাজার। আমফান থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার যথেষ্ট সতর্ক প্রশাসন। ইয়াস মোকাবিলায় প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। কোনও রকম দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সে কারণে একাধিক বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে লালবাজারের তরফে।
বিস্তারিত পড়ুন: ইয়াস মোকাবিলায় তেড়ে ফুঁড়ে উঠছে লালবাজারও, ঝড়ের সময় মানতেই হবে যেসব নির্দেশ
কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেই ‘ইয়াস’ (Cyclone Yaas)-এর মোকাবিলা করতে হবে। তাই রাজ্যের সব বিভাগেই শুরু হয়েছে তৎপরতা। পিছিয়ে নেই দমকলও। গোটা রাজ্যে মোট ৫৪টি স্পেশাল টিম প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। আজ, সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেই তথ্য দিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose)। এ দিন তিনি জানিয়েছে, দফতরে বৈঠক করে ইয়াস মোকাবিলার রূপরেখা তৈরি হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।
বিস্তারিত পড়ুন: ৪টি স্পেশাল টিম নিয়ে প্রস্তুত দমকল, কন্ট্রোল রুমে থাকবেন মন্ত্রী সুজিত বসু
বুধেই বিপর্যয়। বাংলার বুকে আছড়ে পড়ার কথা অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের (Cyclone Yaas)। কোভিডকালে রোগীদের যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয় সেদিকে নজরে রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুরোদমে প্রস্তুত হচ্ছে হাসপাতালগুলিও।
বিস্তারিত পড়ুন: ইয়াস মোকাবিলায় প্রস্তুত হাসপাতালগুলি, চিকিৎসক-নার্সদের থাকা খাওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা
টালা বাঁচাতে জলই ভরসা। ধেয়ে আসছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Cyclone Yaas)। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সোমবার রাত থেকে আরও শক্তি বাড়াবে এই ঘূর্ণিঝড়। তার তাণ্ডবলীলা নাকি আমফানের থেকেও ভয়াবহ হতে পারে। সবদিক খেয়াল থেকে টালা ট্যাঙ্ককে রক্ষা করতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। কারণ কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন এলাকার জলের জোগান দেয় উত্তর কলকাতার এই টালা ট্যাঙ্কই। কোনও ভাবে এই ওয়াটার রিজার্ভারে আঁচ লাগলে থমকে যাবে শহরের ‘জীবন’।
বিস্তারিত পড়ুন- ইয়াসের হাত থেকে টালাকে বাঁচাতে জলেই ভরসা পুরসভার
ইয়াস (Cyclone Yaas) মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) সঙ্গে বৈঠক করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। নবান্ন থেকে ভার্চুয়াল সেই বৈঠকে নেওয়া হয়েছে একাধিক সিদ্ধান্ত। সূত্র মতে, বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওড়িশা, অন্ধ্র প্রদেশ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও আন্দামান ও নিকোবারের এলজি-কে বেশ কয়েকটি বিষয়ে কড়া নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘ইয়াস’-এর গতি নিয়ে প্রতি মুহূর্তে থাকতে হবে আপডেটেড আর কী করতে হবে বাংলা-ওড়িশাকে? শাহি-বৈঠকে সিদ্ধান্ত
ইয়াস (Cyclone Yaas) মোকাবিলায় প্রস্তুতিতে ফাঁক রাখতে চাইছে কেন্দ্র। ঠিক কতটা প্রস্তুত রাজ্যগুলি, তা জানতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বাংলা, ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে করবেন। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে হবে এই বৈঠক। বৈঠকে থাকবেন আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের এলজি। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না। বাংলার পক্ষ থেকে এই বৈঠকে থাকবেন স্বরাষ্ট্র সচিব।
দিল্লির মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছএ ইয়াস। এখন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে শক্তি বৃদ্ধি করছে সে। আজ সন্ধ্যা থেকেই সম্ভবত এগোতে শুরু করবে। দিঘা থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ইয়াস।
ঘূর্ণিঝড়ের আগে প্রস্তুতি দিঘায়। বিচের দোকানগুলির ভিতর বড় বড় পাথর এনে রাখা হচ্ছে। ঝড়ের ঝাপটায় দোকান যাতে উড়ে না যায়, তার জন্যই এই প্রস্তুতি। পাশাপাশি বড় পাথরের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে লোহার রড পুঁতে দেওয়া হচ্ছে।
ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে ‘ইয়াস’ (Cyclone Yaas)। দিঘা (Digha) থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে এটি অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতর। অভিমুখের পরিবর্তনের আর কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করেছেন এলাকা চিহ্নিত করে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের (Cyclone Yaas) কথা মাথায় রেখে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাতে কম হয়, প্রাণহানির ঘটনা যাতে না ঘটে, সেই সমস্ত বিষয়ের কথা ভাবনা-চিন্তা করে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিলের কথা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল (Indian Rail)। দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে এবং ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের পক্ষ থেকে একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। মূলত যে সমস্ত ট্রেন গুলি হাওড়া-চেন্নাই রুট ধরে দক্ষিণ ভারতের দিকে যায় অথবা দক্ষিণ ভারতের দিক থেকে পূর্ব ভারতের উদ্দেশে আসে মূলত সেই সমস্ত ট্রেন গুলিকে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া হাওড়া খড়গপুর রুট যে সমস্ত ট্রেন পশ্চিম ভারতের উদ্দেশে যায় সেই সমস্ত রুটের একাধিক ট্রেন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। দুটি দফায় প্রথমে ৭৮ টি এবং পরবর্তীতে আরও ৪১টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিলের কথা ঘোষণা করে দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে। মূলত ২৫-২৭মে ট্রেনগুলি বাতিল করা হয়েছে। তবে কয়েকটি ক্ষেত্রে ২৪ তারিখ অর্থাৎ সোমবার থেকেই একাধিক ট্রেন বাতিল থাকবে।
দেখুন ট্রেনের তালিকা
আমফানের স্মৃতি উস্কে বুধবার সন্ধ্যাতেই পারাদ্বীপ ও সাগরের মধ্যে ল্যান্ডফল করবে ইয়াস (Cyclone Yaas)। বাংলা ওড়িশা উপকূলে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় রূপে আছড়ে পড়বে ইয়াস। চূড়ান্ত সতর্ক কলকাতা (Kolkata) প্রশাসন। উদ্বিগ্ন শহরবাসীও। আমফানের সময় কেবল ‘লেজের’ ঝাপটাতেই তছনছ হয়েছিল কলকাতা। সেই স্মৃতি শহরবাসীর মনে এখনও তাজা। তাতেই প্রহর গুনছেন সকলে। ইয়াসের ধাক্কায় ঠিক কতটা বিপর্যস্ত হবে কলকাতা? এবার তাই স্পষ্ট করে বাতলে দিলেন আবহাওয়া বিদরা। ২৬ মে দুপুর থেকেই ইয়াসের প্রভাব দেখতে শুরু করবেন শহরবাসী। ভারী বৃষ্টির সঙ্গে বইবে ৯০-১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়া। ইয়াসের ল্যান্ডফলের পর হাওয়ার গতিবেগ আরও বাড়বে।
রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দিঘা (Digha) থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ‘ইয়াস’ (Cyclone Yaas)। সোমবারই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার কথা তার। আগামী বুধবার, ২৬ মে ল্যান্ডফল করবে ঘূর্ণিঝড়টি। সাগর ও পারাদ্বীপের মধ্যে ইয়াস আছড়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন আবহাওয়াবিদরা। ইয়াসের গতিপথ পরিবর্তনের আপাতত আর কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ পরিবর্তন করা আবহাওয়ার একটি বিশেষ উপাদান। কিছু অনুষঙ্গের ওপর নির্ভর করে। তারপরই বলা যেতে পারে, এই ঝড়ের গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে কিনা। সোমবার থেকে উপকূলীয় অঞ্চলগুলি, যেমন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলিতে সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে।
বিস্তারিত পড়ুন: দিঘা থেকে দূরত্ব ৬৫০ কিমি, আজই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে ইয়াস! বিপদ বাড়িয়েছে পূর্ণিমার কোটাল