কলকাতা: ফের নিউটাউনে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার এক। গৌরাঙ্গ থানা এলাকা থেকে বিশ্বজিৎ হালদার নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, মঙ্গলবার গৌরাঙ্গ নগর এলাকার একটি বাড়িতে হানা দেয় নিউটাউন থানার পুলিশ। সেখান থেকে বিশ্বজিৎ হালদার নামে একজনকে ধরে ফেলে। বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি ওয়ান শাটার বন্দুক ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। এলাকায় বিশ্বজিতের নামে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বিশ্বজিতের সঙ্গে ওই এলাকারই আরও দুই যুবক বিভিন্ন দুষ্কর্মের সঙ্গে জড়িত। বিশ্বজিৎকে জেরা করে তাদের নাম জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। কী কারণে বিশ্বজিৎ বাড়িতে অস্ত্র মজুত করছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আদৌ এলাকায় বড় কোনও ডাকাতির ছক করছিল কিনা, তা দেখছেন তদন্তকারীরা।
নিউটাউন থানার পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ধৃত বিশ্বজিৎ হালদারকে বুধবার বারাসত আদালতে পেশ করা হবে। এদিকে, সোমবার রাতেই ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া ৫ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে দক্ষিণ বিধান নগর থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ধারালো অস্ত্র ও ডাকাতির সরঞ্জাম।
পুলিশ সূত্র মারফত খবর, সোমবার রাতে দক্ষিণ বিধান নগর থানার লোহা পুলের সামনে সন্দেহজনকভাবে বেশ কয়েকজন যুবককে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই থানায় খবর দেন। পুলিশ দ্রুত এলাকায় পৌঁছয়। ততক্ষণে ওই এলাকাতেই ইতঃস্তত ঘোরাফেরা করছিল তারা। পুলিশের গাড়ি দেখতেই কিছুটা চমকে ওঠে। পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ তাড়া করে ধরে ফেলে ৫ জনকেই। প্রাথমিকভাবে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু কোনও সঙ্গতিপূর্ণ উত্তর না পাওয়ায় পুলিশের সন্দেহ হয়। এরপর তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ধারালো অস্ত্র ও ডাকাতির সরঞ্জাম। জেরায় প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা বেলেঘাটা ফুলবাগান ও ছয়নাভি এলাকার। বিধাননগর মহকুমা আদালতে মঙ্গলবার তাদের পেশ করা হবে। পুলিশ ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে।
ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এই গ্যাঙের চাঁই কে, আর কোথায় কোথায় তারা ডাকাতি করেছে, অস্ত্র তাদেরকে কে সরবরাহ করেছে, এই সব তথ্য হাতে পেতে চাইছে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে বড় কোনও চক্রের হদিশ মিলবে বলে আশাবাদী পুলিশ।
সম্প্রতি সল্টলেক, নিউটাউন, রাজারহাট চত্বরে বেশ কয়েকটি দল সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা দিনের বেলায় নানা রকম কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে, বিভিন্ন এলাকা রেইকি করে, রাতে চালায় অপারেশন। এলাকায় বিভিন্ন ধরনের লুঠপাটের ঘটনার জড়িত তারা। সম্প্রতি এক গ্যাঙের হদিশও মেলে। একাধিক অত্যাধুনিক অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে তাদের কাছ থেকে। জেরায় উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্যও।
আরও পড়ুন: Post Poll Violence: নলহাটি-শীতলকুচির মামলাতেও অধরা অভিযুক্তরা, পুরস্কার ঘোষণা করল সিবিআই