Newtown: ‘আধমরা অবস্থায় ধর্ষণ করে… তারপর দেহ ফেলে আসে’, নিউটাউনের রোমহর্ষক ঘটনা স্ত্রীর সামনেই সবটা খুলে বলে অভিযুক্ত
Newtown: ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়। তখনই স্ত্রীর সামনে বিস্ফোরক এই স্বীকারোক্তি করেন অভিযুক্ত। এই গোটা বয়ান থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট, ঘটনার রাতে কিশোরী মায়ের বকা খেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এক ঘণ্টা হেঁটেছিল।

কলকাতা: নিউটাউনের কিশোরীকে খুনের পর ধর্ষণ করা হয়। তিন ঘণ্টা নিউটাউনের বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরানোর পর খুন করা হয়। টোটোর স্প্রিং গলায় পেঁচিয়ে টোটোর মুখেই কিশোরীকে খুন করেন অভিযুক্ত। তারপরও সেই টোটো নিয়ে ঘোরেন। নিউটাউনে নাবালিকাকে খুন ধর্ষণর কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য় এল পুলিশের হাতে। জানা যাচ্ছে, স্ত্রীর সামনে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করেছেন অভিযুক্ত।
অভিযুক্ত জানিয়েছে, ঘটনার রাতে কিশোরী টোটোয় ওঠার পর তিন ঘণ্টা তাকে নিয়ে নিউটাউনের রাস্তায় টোটোয় নিয়ে ঘুরেছিলেন অভিযুক্ত। সেই সিসিটিভি ফুটেজও এসেছে পুলিশের হাতে। তাতে টোটোয় কিশোরীকে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি, টোটোর স্প্রিং গলায় পেঁচিয়ে কিশোরীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। তারপর ধর্ষণ। তারের বেড়া কেটে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে যায় দেহ।
অভিযুক্তের স্ত্রী বলেন, “যে মেয়েটার সঙ্গে এমন করেছেন, তাতে নিউটাউনেরই একটা জায়গা থেকে টোটোয় তোলে। তিন ঘণ্টা ঘোরানোর পর ব্রেকের স্প্রিং খুলে পেঁচিয়ে মারে, ঘাড় ভেঙে দেয়। মেয়েটাকে ওই অবস্থায় নিয়ে লোহারপুলের ওখানে তার ঢেকে জঙ্গলে ঢোকে। মেয়েটাকে ওই আধ মরা অবস্থাতেই ধর্ষণ করে। বস্তায় পুরে দড়ি দিয়ে ভাল করে বেঁধে রেখে দিয়ে আসে।”
অভিযুক্তের স্ত্রী জানান, তাঁর স্বামী আগেই জেলে খেটেছেন। তিনি বলেন, “বিয়ের পর জানতে পারি, ৮ মাস ১৫ দিন জেলে খেটে এসেছে। পুলিশ বলেছিল ওকে মারুন ধরে। আমি বলেছিলাম, না ওকে মারতে পারব না। আমার হাতে যে এখনও শাখা সিঁদুর রয়েছে। ওকে সব মেয়েছেলের হাতে ছেড়ে দিতে হবে। ও ঘৃণ্য অপরাধ করেছে। জেল থেকে যদি বেরোয়, ও কোনও মেয়েকে শান্তিতে থাকতে দেবে না। ও তো একজনের কোল খালি করেছে, আবার কার না কার খোল খালি করে দেবে।”
ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়। তখনই স্ত্রীর সামনে বিস্ফোরক এই স্বীকারোক্তি করেন অভিযুক্ত। এই গোটা বয়ান থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট, ঘটনার রাতে কিশোরী মায়ের বকা খেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এক ঘণ্টা হেঁটেছিল। তারপর জগৎপুরের সাত নম্বর এলাকা থেকে এই টোটোতে ওঠে। তারপর তিন ঘণ্টা ওই টোটোতেই ছিল। তারপর বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার অছিলায় তিন ঘণ্টা ওই টোটোতেই কিশোরীকে ঘোরান অভিযুক্ত।
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই অভিযুক্ত রানাঘাটে এক কিশোরীকে অপহরণ করে বিয়ে করেন। পরে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেন। সেই ঘটনায় ৮ মাসেরও বেশি জেলবন্দি থাকতে হয়েছিল অভিযুক্তকে। তদন্তকারীরা বলছেন, এই ধরনের অপরাধমূলক প্রবণতা আগেও ছিল অভিযুক্তের।

