NIA Arrest: করোনা আক্রান্ত বলে গ্রেফতারি এড়ানোর চেষ্টা, ৪ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে ‘টেরর ফান্ডিং’য়ে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jan 19, 2022 | 4:12 PM

NIA Arrest: ৪ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডের নির্দেশ দেয় এনআইএ বিশেষ আদালত। ২২ তারিখের মধ্যে তাঁকে রাঁচির আদালতে পেশ করতে হবে।

NIA Arrest: করোনা আক্রান্ত বলে গ্রেফতারি এড়ানোর চেষ্টা,  ৪ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে টেরর ফান্ডিংয়ে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী
ধৃত মহেশ আগরওয়াল (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

কলকাতা: মাওবাদীদের অর্থ জোগানের অভিযোগে গ্রেফতার মহেশ আগরওয়ালকে ৪ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডের নির্দেশ দিল এনআইএ বিশেষ আদালত। ২২ তারিখের মধ্যে তাঁকে রাঁচির আদালতে পেশ করতে হবে বলে আদালত জানিয়ে দিয়েছে।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার গ্রেফতারির সময়ে নিজেকে কোভিড পজেটিভ করে দাবি করে মহেশ আগরওয়াল। গ্রেফতারি এড়ানোর চেষ্টা করে সে। পরে তাকে সঙ্গে নিয়েই সরকারি হাসপাতালে যায় তদন্তকারীরা। সেখানে তার কোভিড পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

এদিকে, এই একই অভিযোগ মহেশের সহকারি হিসাবে নাম উঠে এসেছে আরও ২ জনের। মহেশকে ধরতে গেলে তারা পালিয়ে যায়। কলকাতা এনআইএ বিশেষ আদালত জানিয়েছে, ২২ তারিখের মধ্যে মুকেশকে রাঁচি আদালতে পেশ করতে হবে। ২৭ তারিখ কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট দিতে হবে বিচারভবনের মুখ্য বিচারকের কাছে।

মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয় মহেশ আগরওয়াল নামে ওই ব্যবসায়ীকে। তার খোঁজে দীর্ঘদিন ধরেই তল্লাশি চালাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, রাঁচি এনআইএ গোয়েন্দারা একটি মাওবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে তদন্ত করছিলেন। সেখানে মানি ট্রেইল খুঁজে বার করেন তদন্তকারীরা। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, কলকাতার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকেই টাকা গিয়েছে। তাঁরা এই ব্যবসায়ীর খোঁজ চালাচ্ছিলেন দীর্ঘদিন।

কলকাতার এনআইএ- টিমের সহযোগে তাঁরা দক্ষিণ কলকাতায় তল্লাশি চালান বুধবার। ওই ব্যবসায়ীকে দক্ষিণ কলকাতা থেকেই গ্রেফতার করা হয়। নির্দিষ্ট করে কত টাকা টেরর ফান্ডিং করা হয়েছে, তা খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। কেন মহেশ আগরওয়াল জঙ্গি সংগঠনকে আর্থিক সাহায্য করেছিল? কোন চাপের মুখে পড়ে নাকি সে নিজেও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেই যুক্ত? তা জানতে চান তদন্তকারীরা।

প্রসঙ্গত, এর আগে হুগলি থেকে এক মাওবাদী নেতাকে গ্রেফতার করে এনআইএ। মনোজ চৌধুরী নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধেও টেরর ফান্ডিংয়ের অভিযোগ ছিল। মাওবাদীদের অর্থের জোগান দেওয়া থেকে অস্ত্র পাচার, বিভিন্ন অভিযোগে গত তিন বছর ধরে তাকে খোঁজা হচ্ছিল। ঝাড়খণ্ডের গিরিডি থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধারের মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল মনোজ চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

মাওবাদীর সক্রিয় সদস্য ছিল মনোজ। মূলত সংগঠনকে আর্থিক জোগান দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। বিভিন্ন জায়গায় তোলাবাজি, রিয়েল এস্টেট থেকে টাকা তুলে নিয়ে আসত সে। ঝাড়খণ্ডের একটি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিল সে। গিরিডিতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে মনোজের নাম উঠে আসে। ওই মামলায় ১৭ জনের নামে চার্জশিট দেয় এনআইএ। কিন্তু তিন বছর ধরে পলাতক ছিল মনোজ। পরে তাকে হুগলি থেকে গ্রেফতার করা হয়। মনোজের সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের শীর্ষ নেতাদেরও যোগ ছিল।

আরও পড়ুন: Cyber Crime: কলকাতায় বসে জালে ফেলত বিদেশি নাগরিকদের, বড়সড় সাইবার প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস

Next Article