AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nicco Park Incident: ‘মা-বাবা একা হয়ে যাবে বলে বাইরে যায়নি, সেই একমাত্র প্রদীপটাও নিভে গেল’! রাহুলকে হারিয়ে চোখে জল দাদুর

Nicco Park Incident: ভিনরাজ্যে বা বিদেশে চাকরিতে গেলে মা-বাবা একা হয়ে যাবে। তাই নিজের স্বপ্নকে বিসর্জন দিয়ে বাবার ব্যবসাতেই নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে চেয়েছিল রাহুল। কিন্তু অকালেই ঝরে গেল প্রাণটা।

Nicco Park Incident: ‘মা-বাবা একা হয়ে যাবে বলে বাইরে যায়নি, সেই একমাত্র প্রদীপটাও নিভে গেল’! রাহুলকে হারিয়ে চোখে জল দাদুর
শোকের ছায়া পরিবারে Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2025 | 5:03 PM
Share

কলকাতা: একদিন নিক্কোপার্কে গিয়েই সব শেষ! পরিবারের সদস্যরা বলছেন ছোট থেকেই রাহুলের স্বপ্ন ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে বিদেশে গিয়ে চাকরি করার। বাবা, দাদুকে নিজের স্বপ্নের কথাও জানিয়েছিল। স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে এগিয়েও চলেছিল রাহুল। মাধ্যমিক স্তরে আইসিএসসি বোর্ড থেকে ৮৮ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করে। তারপর নিজে উপলব্ধি করে যে বিদেশে চাকরি করতে গেলে বাবা-মাকে ছেড়ে থাকতে হবে। বাবা-মাও একা হয়ে পড়বে। তাই শেষ পর্যন্ত নিজের লক্ষ্য পরিবর্তন। উচ্চমাধ্যমিকে কমার্স নিয়ে ভর্তি হয়। কারণ তখন তার লক্ষ্য বাবার ব্যবসা সামলানোর। বাবার ব্যবসাকে আরও বড় করা। সেইমতো কমার্স নিয়ে পড়ে ৮৯% নম্বর নিয়ে উচ্চমাধ্যমিকও পাস করে। 

উচ্চমাধ্যমিকের পর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ নিয়ে ভর্তি। ইচ্ছে ছিল এমবিএ পাস করে পাকাপাকিভাবে বাবার জামাকাপড়ের ব্যবসা সামলানোর। দাদু আশিস রঞ্জন ঘোষের কথায়, “রাহুল ছোট থেকে পড়াশোনায় খুব মেধাবী ছিল। ছোটবেলায় বলতো বাবার মত অত পরিশ্রম করে ব্যবসা আমি করতে পারব না। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে বাইরে চলে যাব। মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরোনোর আগে হঠাৎ নিজেই বলে, বাইরে গেলে তো বাবা-মা একা হয়ে যাবে। বাইরে যাব না, বাবার ব্যবসা বড় করব। এখন দেখুন বাবা মাকে সেই একা রেখেই চলে গেল। আমাদের একমাত্র প্রদীপ আমাদের ছেড়ে চলে গেল।”

রাহুলের বাবা সুরজিৎ দাসের জামা-কাপড়ের পাইকারি ব্যবসা রয়েছে। পরিবারের সকলেই বলছেন, পড়াশোনা বা ক্যারিয়ার নিয়ে কখনও ছেলের উপর চাপ তৈরি করেননি তারা। একমাত্র ছেলে ব্যবসার হাল ধরতে চেয়েছে শুনে খুশিই ছিল পরিবার। কিন্তু অসময়ে থমকে গেল পরিবারের স্বপ্ন। 

বুধবার সকাল ১১ টা নাগাদ বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে নিক্কো পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন উল্টোডাঙার বাসিন্দা বছর আঠেরোর রাহুল দাস। পার্কের ওয়াটার পার্কে শাওয়ার নেওয়ার সময়েই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। যদিও তড়িঘড়ি পার্কের মধ্যেই মেডিকেল সাপোর্ট নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। রাহুলের পরিবারের প্রশ্নের মুখে নিক্কো পার্ক কর্তৃপক্ষ।