Adiganga: ভাসছে মৃত পশুর দেহ, গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের পরও আদিগঙ্গা নিয়ে হুঁশ ফেরেনি পুরসভার

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Dec 13, 2021 | 8:34 AM

Adiganga: এনজিটি বা ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল আদিগঙ্গা সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছিল। রাজ্য সরকারের একাধিক দফতর ও কলকাতা পুরসভাকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

Follow Us

কলকাতা : কলকাতার পুরভোট আসন্ন। প্রার্থীরা প্রচার শুরু করেছেন জোরকদমে। আর ভোট যত, আসছে ততই সামনে আসছে শহরের আনাচে কানাচে লুকিয়ে থাকা একগুচ্ছ সমস্যা। জমা জল, দুর্গন্ধ, মশার কামড়- এমন সব পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাননি একাধিক ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। ভোট আসছে, প্রার্থী তালিকা তৈরি হয়েছে, ইস্তেহার প্রকাশ করে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে বিভিন্ন দল, কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে জমতে থাকা এই সব সমস্যার সমাধান কি আদৌ হবে সেব প্রশ্নই সামনে আসছে। আর পুরভোট এগিয়ে এলেই অন্যতম বড় যে প্রশ্নটা ঘুরেফিরে আসে তা আদিগঙ্গাকে নিয়ে। কলকাতা শহরের বিস্তীর্ণ অংশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে আদিগঙ্গা বা টালি নালা। বারবার সেই আদিগঙ্গার অবস্থা নিয়ে পরিবেশবিদরা সর্তক করলেও কোনও লাভ হয়নি। বছরের পর বছর নোংরা আবর্জনার স্তূপ জমে আছে সেখানে।

গড়িয়া থেকে আলিপুর পেরিয়ে প্রায় সাড়ে ১৫ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে টালি নালা। একসময় এই ইতালি নালা দিয়ে যাতায়াত করতে পারতেন বাসিন্দারা। কিন্তু আজ আবর্জনার স্তূপে সেই নালায় জল দেখা যায় না বললেই চলে। শহরের অন্তত ৭৭ টি নালার জল মেশে এই আদিগঙ্গায়। শুধু তাই নয়, দিনের পর দিন এই ফেলা আবর্জনা। আদিগঙ্গার কাছে গেলে দেখা যাবে পড়ে রয়েছে মৃত পশুর দেহ। আর সেখান থেকে যে কতটা দূষণ ছড়াতে পারে তা বলাই বাহুল্য। দিনে দিনে ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসীর। শুধু সতর্কতা আর প্রতিশ্রুতিই সার, আদতে কোনও ব্যবস্থাই নেয় না প্রশাসন, এমনটাই অভিযোগ বাসিন্দাদের। কোটি কোটি টাকা খরচ হলেও লাভের লাভ কিছুই হয় না, বলছেন স্থানীয়রা।

এলাকার এক বাসিন্দা জানান, কোটি কোটি মশা ঘুরে বেড়ায় গোটা এলাকায়। শহরে ডেঙ্গু যখন ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে, তখন আদিগঙ্গার এই পরিস্থিতি উদ্বেগ তৈরি করছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। আর এক বাসিন্দা জানান, প্রশাসন এই আদিগঙ্গা সংস্কারের জন্য অনেক টাকা খরচ করেছে, কিন্তু পাড়ে যে মাটি দেওয়া হচ্ছে, বৃষ্টি হলে তা ফের ধুয়ে যাচ্ছে।

আদিগঙ্গা নিয়ে প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়নি, তা নয়। এনজিটি বা ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল আদিগঙ্গা সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছিল। রাজ্য সরকারের একাধিক দফতর ও কলকাতা পুরসভাকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। মূলত তিনটি বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। পুরসভাকে বলা হয়েছিল আদিগঙ্গার পাড় থেকে বেআইনি বসতির উচ্ছেদ করতে হবে। পাশাপাশি বলা হয়েছিল, আদিগঙ্গার পাশ দিয়ে যে মেট্রো রেল তৈরি হচ্ছে, সেই কাজের বর্জ্য যেন জমা না হয় নালার জলে, মেট্রোর শৌচাগারের জল যাতে না পড়ে তা দেখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। বছর ঘুরে গেলেও সে সব নিয়ে কোনও তৎপরতা দেখা যায়নি পুর প্রশাসনের তরফে।

১০০ নম্বর এই আদিগঙ্গা সংলগ্ন একটি ওয়ার্ড। সেই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী প্রসেনজিৎ দাস বলেন, দল এবারে তৎপরতার সঙ্গে আদিগঙ্গা সংস্কারের কাজ করবে। তিনি মনে করেন, নাব্যতা কমে যাওয়াই আদিগঙ্গার জন্য সবথেকে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই কারণেই এই পরিস্থিতি। ক্ষমতায় এলে তিনি নালা সংস্কারের উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।

আরও পড়ুন : Weather Update: বড় খবর! রাজ্যে পড়ল জাঁকিয়ে শীত, তবে আগামী কয়েকদিনে রাজ্যে কী রকম থাকবে আবহাওয়া?

কলকাতা : কলকাতার পুরভোট আসন্ন। প্রার্থীরা প্রচার শুরু করেছেন জোরকদমে। আর ভোট যত, আসছে ততই সামনে আসছে শহরের আনাচে কানাচে লুকিয়ে থাকা একগুচ্ছ সমস্যা। জমা জল, দুর্গন্ধ, মশার কামড়- এমন সব পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাননি একাধিক ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। ভোট আসছে, প্রার্থী তালিকা তৈরি হয়েছে, ইস্তেহার প্রকাশ করে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে বিভিন্ন দল, কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে জমতে থাকা এই সব সমস্যার সমাধান কি আদৌ হবে সেব প্রশ্নই সামনে আসছে। আর পুরভোট এগিয়ে এলেই অন্যতম বড় যে প্রশ্নটা ঘুরেফিরে আসে তা আদিগঙ্গাকে নিয়ে। কলকাতা শহরের বিস্তীর্ণ অংশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে আদিগঙ্গা বা টালি নালা। বারবার সেই আদিগঙ্গার অবস্থা নিয়ে পরিবেশবিদরা সর্তক করলেও কোনও লাভ হয়নি। বছরের পর বছর নোংরা আবর্জনার স্তূপ জমে আছে সেখানে।

গড়িয়া থেকে আলিপুর পেরিয়ে প্রায় সাড়ে ১৫ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে টালি নালা। একসময় এই ইতালি নালা দিয়ে যাতায়াত করতে পারতেন বাসিন্দারা। কিন্তু আজ আবর্জনার স্তূপে সেই নালায় জল দেখা যায় না বললেই চলে। শহরের অন্তত ৭৭ টি নালার জল মেশে এই আদিগঙ্গায়। শুধু তাই নয়, দিনের পর দিন এই ফেলা আবর্জনা। আদিগঙ্গার কাছে গেলে দেখা যাবে পড়ে রয়েছে মৃত পশুর দেহ। আর সেখান থেকে যে কতটা দূষণ ছড়াতে পারে তা বলাই বাহুল্য। দিনে দিনে ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসীর। শুধু সতর্কতা আর প্রতিশ্রুতিই সার, আদতে কোনও ব্যবস্থাই নেয় না প্রশাসন, এমনটাই অভিযোগ বাসিন্দাদের। কোটি কোটি টাকা খরচ হলেও লাভের লাভ কিছুই হয় না, বলছেন স্থানীয়রা।

এলাকার এক বাসিন্দা জানান, কোটি কোটি মশা ঘুরে বেড়ায় গোটা এলাকায়। শহরে ডেঙ্গু যখন ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে, তখন আদিগঙ্গার এই পরিস্থিতি উদ্বেগ তৈরি করছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। আর এক বাসিন্দা জানান, প্রশাসন এই আদিগঙ্গা সংস্কারের জন্য অনেক টাকা খরচ করেছে, কিন্তু পাড়ে যে মাটি দেওয়া হচ্ছে, বৃষ্টি হলে তা ফের ধুয়ে যাচ্ছে।

আদিগঙ্গা নিয়ে প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়নি, তা নয়। এনজিটি বা ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল আদিগঙ্গা সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছিল। রাজ্য সরকারের একাধিক দফতর ও কলকাতা পুরসভাকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। মূলত তিনটি বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। পুরসভাকে বলা হয়েছিল আদিগঙ্গার পাড় থেকে বেআইনি বসতির উচ্ছেদ করতে হবে। পাশাপাশি বলা হয়েছিল, আদিগঙ্গার পাশ দিয়ে যে মেট্রো রেল তৈরি হচ্ছে, সেই কাজের বর্জ্য যেন জমা না হয় নালার জলে, মেট্রোর শৌচাগারের জল যাতে না পড়ে তা দেখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। বছর ঘুরে গেলেও সে সব নিয়ে কোনও তৎপরতা দেখা যায়নি পুর প্রশাসনের তরফে।

১০০ নম্বর এই আদিগঙ্গা সংলগ্ন একটি ওয়ার্ড। সেই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী প্রসেনজিৎ দাস বলেন, দল এবারে তৎপরতার সঙ্গে আদিগঙ্গা সংস্কারের কাজ করবে। তিনি মনে করেন, নাব্যতা কমে যাওয়াই আদিগঙ্গার জন্য সবথেকে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই কারণেই এই পরিস্থিতি। ক্ষমতায় এলে তিনি নালা সংস্কারের উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।

আরও পড়ুন : Weather Update: বড় খবর! রাজ্যে পড়ল জাঁকিয়ে শীত, তবে আগামী কয়েকদিনে রাজ্যে কী রকম থাকবে আবহাওয়া?

Next Article