কলকাতা: পেট্রল, ডিজ়েলের দাম ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। নিকট ভবিষ্যতে দাম কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আর তার পাশাপাশি পেট্রোপণ্য চালিত গাড়িতে পরিবেশ দূষণের (Pollution) হারও অনেক বেশি। এই পরিস্থিতিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। পরিবেশ বান্ধব গাড়ির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ছাড় দেবে রাজ্য।
এখন থেকে ব্যাটারি (Battery), ইথানল (Ethanol) এবং মিথানল (Methanol) চালিত গাড়ি চালানোর জন্য কোনও পারমিট লাগবে না। রাজ্য সরকার থেকে আজ এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানানো হয়েছে। কোনও যাত্রী বা পণ্যবাহী, সব ক্ষেত্রেই এই সুবিধা দেওয়া হবে গাড়ির মালিকদের।
তবে এক্ষেত্রে পারমিটহীন যাত্রার সুবিধা নেওয়ার জন্য মানতে হবে কিছু নিয়ম। রাজ্য সরকারের পরিবহন দফতরের অধীনে যে বাহন পোর্টাল রয়েছে, সেখানে গাড়িটির রুট অর্থাৎ, গাড়িটি যেখান থেকে যাত্রা শুরু করছে এবং যতদূর পর্যন্ত যাচ্ছে, মোট দূরত্ব, সেগুলি উল্লেখ করতে হবে।
উল্লেখ্য, অতীতে কেন্দ্রীয় সরকার দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ বান্ধব গাড়ি, বিশেষ করে বৈদ্যুতিন গাড়ি চালাতে আমজনতাকে আগ্রহী করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে। বিভিন্ন গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাকে বৈদ্যুতিন গাড়ি তৈরির জন্য বিশেষ সুবিধাও দিচ্ছে কেন্দ্র। লক্ষ্য একটাই। দূষণ থেকে দেশকে রক্ষা করা। এবার কেন্দ্রের দেখানো সেই পথে এগিয়ে এল রাজ্য সরকারও।
পেট্রল ও ডিজ়েলে যে পরিমাণে দূষণ তৈরি হয়, তার থেকে মুক্তি পেতে হলে একমাত্র উপায় ব্যাটারি চালিত গাড়ি। ব্য়াটারি চালিত গাড়ি থেকে দূষণ প্রায় হয় না বললেই চলে। আর ইথানল বা মিথানল থেকেও যে পরিমাণ দূষণ হয়, তা পেট্রল বা ডিজ়েলের থেকে তুলনায় অনেকটাই কম। আর সেই কারণেই এবার রাজ্য সরকারও ঝুঁকছে ব্য়াটারি চালিত এবং ইথানল ও মিথানল চালিত গাড়ির দিকে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের অগাস্ট মাসেই তিলোত্তমাকে দূষণ মুক্ত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে সরকার। রাস্তায় নেমেছে সিএনজি বাস। জুন মাসেই বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানির সঙ্গে সিএনজি বাস সংক্রান্ত বিষয়ে এক চুক্তি করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের তরফে সেই চুক্তিতে সই করেছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তারপর থেকেই কলকাতার রাস্তায় সিএনজি বাস চলছে। কলকাতার মতো জনবহুল একটি শহরে দূষণ কমাতে এই সিএনজি বাসগুলি আগামী দিনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।
এদিকে কেন্দ্র যেভাবে দেশে বৈদ্যুতিন গাড়ি প্রস্তুতিতে উৎসাহ দিচ্ছে, তাতে আরও বেশি করে গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি বৈদ্যুতিন গাড়ি প্রস্তুতির দিকে ঝুঁকছে।
আরও পড়ুন : Tata Tigor EV: ভারতে লঞ্চ হয়েছে টাটা মোটরসের নতুন ইলেকট্রিক ভেহিকেল, দাম কত?
আরও পড়ুন : Wuling Nano EV: এই ন্যানো ইলেকট্রিক গাড়ির দাম নাকি মারুতি অল্টোর থেকেও কম!