Mithun Chakraborty: তৃণমূলের সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত নন, অনেক ভাল লোক আছেন : মিঠুন

Mithun Chakraborty: ২৩ তারিখ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার করার কথা রয়েছে মিঠুনের। শেষ দিনে অনুব্রতর গড় বোলপুরে প্রচার করবেন তিনি।

Mithun Chakraborty: তৃণমূলের সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত নন, অনেক ভাল লোক আছেন : মিঠুন
মিঠুন চক্রবর্তী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 22, 2022 | 11:18 PM

কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে এসে কলকাতায় (Kolkata) পা রেখেই তৃণমূল সরকারকে এক হাত নিলেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। তবে তাঁর দাবি, “তৃণমূলের সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত নন, অনেক ভাল লোক আছেন।” তাঁর এ মন্তব্য নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এর আগে মিঠুন দাবি করেছিলেন ২১ জন তৃণমূল বিধায়ক তাঁর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন। যদিও এদিন তাঁর দাবি সংখ্যাটা শুধু ২১ নয়। তালিকা আরও লম্বা। আর এই তালিকায় বিধায়কদের পাশাপাশি সাংসদরাও রয়েছেন। মিঠুন বলেন, “২১টা বেড়েছে। আমি কোনও ব্যাকআপ ছাড়া কথা বলি না। সময় এলে দেখতে পাবে। তাঁরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তৃণমূলের সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত নন, অনেক ভাল লোক আছেন। যাঁরা ভাল তাঁরা দেখবেন শান্ত। এদের দিকে নজর রাখুন। এটুকুই হিন্ট দিলাম। বিধায়ক-সাংসদ সবাই রয়েছেন। তাঁরা যদি আসেন তাঁদের আর ফিরে যাওয়ার রাস্তা নেই। আর এদিক থেকে কেউ যেতে চাইলে বলব তাড়াতাড়ি যান। আমরা মুক্ত হয়ে যাব। নিজেও কষ্ট পাবেন না। আমাদেরও কষ্ট দেবেন না।” 

প্রসঙ্গত, ২৩ তারিখ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার করার কথা রয়েছে মিঠুনের। শেষ দিনে অনুব্রতর গড় বোলপুরে প্রচার করবেন তিনি। ২৩ তারিখ প্রচারে যাবেন পুরুলিয়ায়। ২৪ তারিখ বাঁকুড়া, ২৫ তারিখ বিষ্ণুপুর, ২৬ তারিখ আসানসোল ও শেষ দিন ২৭ তারিখ বোলপুরে প্রচার করবেন তিনি। সব ক্ষেত্রেই তিনি জেলার পঞ্চায়েত কার্যকর্তা সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে জানা যাচ্ছে। মিঠুনের সাফ দাবি আগামীতে বিজেপি ছাড়া কোনও গতি নেই। মিঠুন বলেন, “আজ ১৮টা রাজ্য চালাচ্ছে বিজেপি। আরও চার পাঁচাটা রাজ্যেও দ্রুত ক্ষমতায় চলে আসবে। বিজেপি ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই।” 

একইসঙ্গে বাংলার বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মিঠুন বলেন, “বাংলার ইমেজ এখন ফাটাফাটি। সব জিনিস টপ গিয়ারে চলছে। দুর্নীতিতে নম্বর ওয়ান। হিংসায় নম্বর ওয়ান। এখন বাংলাকে হারানো মুশকিল আছে। আগে একটা সময় ছিল যখন বাঙালি মানে গর্ববোধ করা যেত। সেটা যেন কোথায় একটা চলে গিয়েছে। যে জায়গায় চলে গিয়েছে বাংলা সেখান থেকে কী করে ফিরবে আমি জানি না।”