কলকাতা: বাংলাদেশ থেকে ফেরত আসা ব্যক্তি ওমিক্রনে আক্রান্ত নন। বৃহস্পতিবারই তাঁর জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্ট হাতে পান চিকিত্সকরা। তাতে স্পষ্ট, তিনি AY4- এ আক্রান্ত। এটি ডেল্টা গোত্রের স্ট্রেন।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বেলেঘাটা আইডি’তে ভর্তি হন দত্তপুকুরের বাসিন্দা ৭৬ বছরের বৃদ্ধ। বাংলাদেশে পারিবারিক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফিরে কোভিড। সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা করে পজিটিভ ধরা পড়ে। ট্র্যাভেল হিস্ট্রি দেখে বাংলাদেশের কথা জানা যায়।
এরপরই জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে যোগাযোগ করে বৃদ্ধকে আইডি’তে পাঠানো হয়। এর আগে পর্যন্ত বাড়িতেই ছিলেন বৃদ্ধ। সোমবার তাঁর নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল। কিন্তু দেখা যায়, তিনি AY4 এ আক্রান্ত।
প্রসঙ্গত, বুধবারই বাংলায় খোঁজ মিলেছে ওমিক্রন আক্রান্ত এক শিশুর। আক্রান্ত মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা এক সাত বছরের শিশু। আবু ধাবি থেকে হায়দরাবাদ হয়ে সে পরিবারের সঙ্গে বাংলায় এসেছে বলে সূত্রের খবর।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১১ ডিসেম্বর আবু ধাবি থেকে এসে হায়দরাবাদে বিমানবন্দরে অবতরণ করে ওই শিশু ও তার বাবা-মা। হায়দরাবাদে দু দিন থাকার পর গতকাল অর্থাৎ ১৪ ডিসেম্বর কলকাতায় ফেরে সেই পরিবার। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে গতকালই তারা মুর্শিদাবাদের বাড়িতে ফেরে। মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বাসিন্দা ওই পরিবার।
এ দিকে, আবু ধাবি থেকে এসে হায়দরাবাদে বিমানবন্দরে নামার পর ওই পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের করোনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে বাবা-মায়ের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে, তবে শিশুর নমুনায় করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপরই ওই নমুনা জেনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য পাছানো হয়। তেলেঙ্গানা সরকার ওই রিপোর্টে জানতে পারে শিশুটি ওমিক্রনে আক্রান্ত। এরপরই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সে কথা জানানো হয় তেলেঙ্গানার তরফ থেকে।
এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর ওই শিশুকে দ্রুত আইসোলেট করার উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদের জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, আপাতত মুর্শিদাবাদ মাতৃসদনে আইসোলেশনে রাখা হবে ওই শিশুকে। এরপর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। আবু ধাবি থেকে মুর্শিদাবাদ দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছে ওই পরিবার। তাই অনেকেই সংস্পর্শে এসেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মুর্শিদাবাদের জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, জেলার তরফে সবরকমের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে ওমিক্রন আক্রান্তের জন্য় উপযুক্ত ব্যবস্থা আছে কি না, সেই প্রশ্নও সামনে আসছে। তবে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ওই শিশুকে কী ভাবে তার পরিবার এতটা পথ নিয়ে এল, সেই প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন: Weather Update: কাঁপুনি দিচ্ছে শহরে, গ্রামে হু হু করে নামছে পারদ! জাঁকিয়ে ঠান্ডা বাংলায়