কলকাতা: ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের ‘সৌজন্যে’ জাল ভ্যাকসিন যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদের জন্য এ বার বিশেষ ভাবনা কলকাতা পুরসভার। সূত্রের খবর, কসবা-কাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন কলকাতায় মোট দু’টি টিকাকরণে ক্যাম্প করেছিল। প্রথমটি কসবায়, দ্বিতীয়টি নর্থ সিটি কলেজে। কসবার ক্যাম্পেই আবার টিকা নিয়েছিলেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। দুই ক্যাম্প মিলিয়ে ৫০০-র বেশিই মানুষ ভুয়ো টিকা পেয়ে থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তাঁদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এ বার বিশেষ উদ্যোগ নিতে চলেছে পুরসভা।
সূত্রের খবর, আগামিকাল, অর্থাৎ শনিবার থেকেই স্বাস্থ্যভবন এবং কলকাতা পুরসভার যৌথ উদ্যোগে কসবার নিউ মার্কেট এবং নর্থ সিটি কলেজে দু’টি ক্যাম্প করা হবে। যাঁদের ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, মূলত তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্যই এই ক্যাম্প করা হবে। ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রতারিতদের শরীরের হাল-হকিকত সম্পর্কে জানা হবে, পাশাপাশি তাঁদের নতুন করে করোনা টিকা দেওয়া যাবে কি না, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হবে। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
ভুয়ো টিকাকরণের মূল পাণ্ডা দেবাঞ্জন যে ভ্যাকসিন দুই ক্যাম্পে দিয়েছিল, তার গুণমান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে ফরেন্সিক রিপোর্ট এলেই। তবে পুরসভা এবং পুলিশ সূত্রে দু’টি ভিন্ন দাবি উঠে এসেছে। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ প্রাথমিক তদন্তের পর জানায়, একপ্রকার গুঁড়ো এবং জল মিশিয়ে ওই ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছিল। অন্যদিকে, পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নকল কোভিশিল্ডের স্টিকারের আড়ালে ছিল অ্যামিকাসিন ৫০০ নামক অ্যান্টি বায়োটিক ইঞ্জেকশন।
আরও পড়ুন: Kolkata Police on Fake Vaccine: ক্রিকেট টিমও কিনতে চেয়েছিল দেবাঞ্জন! কসবা কাণ্ডে সিট গঠন লালবাজারের
গোটা ঘটনায় সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে রয়েছেন সেই মানুষগুলো যাঁরা ওই ভুয়ো করোনা টিকা নিয়েছিলেন। যদিও এখনও পর্যন্ত বড় কোনও অঘটনের খবর জানা যায়নি। তবে ভুয়ো টিকা প্রাপক প্রত্যেকে শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন কি না, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছে পুরসভা। সেই কথা মাথায় রেখেই এ বার বিশেষ জোড়া ক্যাম্প করা হচ্ছে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: Fake Vaccination: ছেনি-হাতুড়ি এনে ভাঙা হল তালতলার সেই ফলক, পুরসভার অনুমতি ছিল না, দাবি অতীনের