কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে যখন উত্তপ্ত শহরে রাজপথ, তার মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কুণাল ঘোষের প্রকাশ করা অডিয়ো ক্লিপ ঘিরে। অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা। সেই ঘটনায় শুক্রবার রাতেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিধাননগর পুলিশের তরফ থেকে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছিল। সেই মামলার ভিত্তিতে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ সঞ্জীব দাসকে গ্রেফতার করা। যাদবপুরের গড়ফা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর গোয়েন্দা পুলিশ।
শুক্রবার ওই অডিয়ো প্রকাশ করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ দাবি করেন, জুনিয়র ডাক্তারদের প্রেস কনফারেন্সের সময় তাঁদের ওপর হামলার ছক কষেছিল কেউ বা কারা। কুণালের দাবি, এমনভাবে হামলার প্লট তৈরি করা হয়েছিল, যাতে মনে হয় শাসকদলই ওই হামলা করেছে। চিকিৎসকরা নবান্ন থেকে ফেরার পর হামলার পরিকল্পনা ছিল বলে অভিযোগ।
কুণালের বক্তব্যে অডিয়ো ক্লিপের একপারে ‘স’ নামে কোনও ব্যক্তির কন্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। অন্যপারে যার কন্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে, তাকে ‘ক’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এবার সঞ্জীব গ্রেফতার হওয়ার পর মোটামুটিভাবে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে ‘স’ হলেন সঞ্জীব। এখন প্রশ্ন উঠেছে, ‘ক’ তাহলে কে?
কুণাল ঘোষের দাবি, ‘২-৩টে শিবির ভয়ঙ্কর প্লট তৈরি করেছিল। মুখ্যমন্ত্রীকে বিড়ম্বনায় ফেলতে হবে বাইরের ছেলেদের এনে হামলা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।’ বামপন্থী যুব সংগঠন ও অতি বামপন্থী এক ব্যক্তির কথাও বলেছেন তিনি। তবে কারও নাম প্রকাশ করেননি। অন্যদিকে, বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, যারা এই সব অডিয়ো ভাইরাল করছে,তাদেরও সন্দেহের তালিকায় রেখে তদন্ত করা উচিত।
কী ছিল সেই অডিয়ো ক্লিপে, শুনুন…