AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Garfa Building Collapse: গড়ফায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাড়ির ছাদ, চাপা পড়ে মৃত্যু মহিলার

Kolkata: দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মানা দাস (৫৫) নামে এক মহিলার। বাড়ির ভিতরেই ছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার সময়ে মৃতার স্বামীও বাড়িতেই ছিলেন। অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিনি।

Garfa Building Collapse: গড়ফায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাড়ির ছাদ, চাপা পড়ে মৃত্যু মহিলার
ভেঙে পড়ল বাড়ি
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2022 | 6:25 PM
Share

কলকাতা : ফের বাড়ি ভেঙে মৃত্যু কলকাতায় (Building Collapse in Kolkata)। ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর প্রায় সাড়ে ১২ টা। পুরো আকাশ কালো। মুশলধারায় বৃষ্টি হচ্ছিল সেই সময়। সঙ্গে ঘন ঘন বজ্রপাত। হঠাৎই বিকট একটি শব্দ। প্রথমে কিছু বুঝতে পারেননি প্রতিবেশীরা। তবে কী হয়েছে তা বুঝতে বেশি দেরি হয়নি। কিছু সময়ের মধ্যেই প্রতিবেশীরা বুঝতে পারেন, আস্ত একটা বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়েছে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মানা দাস (৫৫) নামে এক মহিলার। বাড়ির ভিতরেই ছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার সময়ে মৃতার স্বামীও বাড়িতেই ছিলেন। অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিনি।

বাড়িটি দীর্ঘদিনের পুরনো। ১১ সি, কে পি রায় লেনের ওই বাড়িটিতে সেভাবে বিশেষ কোনও রক্ষণাবেক্ষণও ছিল না বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। শুক্রবার দুপুরে মুশলধারায় বৃষ্টি হচ্ছিল এলাকায়। আর সেই বৃষ্টির সময়েই প্রথমে বাড়িটির বারান্দার কার্নিশের একটি অংশ ভেঙে পড়ে। সেই সময় নীচেই বসেছিলেন মানা দাস। কার্নিশ ভেঙে পড়ে তাঁর উপর। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এদিকে দুর্ঘটনার খবর পয়ে এলাকায় পৌঁছান গড়ফা থানার পুলিশকর্মীরা। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান কলকাতা পুরনিগমের কর্মীরাও। প্রসঙ্গত, ওই বাড়িটির অন্য একটি অংশে থাকেন মানা দাসের অন্য আত্মীয়-পরিজনরা। তাঁরা অবশ্য বর্তমানে নিরাপদেই রয়েছেন। তবে এইভাবে হুড়মুড়িয়ে বাড়ির ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীদের মধ্যে।

দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পর কলকাতা পুরনিগমের কর্মীরা প্রাথমিকভাবে বাড়ির ওই বিপজ্জনক অংশটি ভেঙে ফেলেন। এরপর বিপজ্জনক ওই বাড়িটিকে গার্ডরেল দিয়েও ঘিরে রাখা হয়। এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুরনিগম সূত্রে যা খবর, দীর্ঘদিনের পুরনো ওই বাড়িটি ভেঙে ফেলতে হবে। তাই বাড়ির বাকি সদস্যদের আপাতত অন্য কোনও নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। মৃতার আত্মীয়রা জানিয়েছেন, বাড়িটিতে আগে থেকেই ফাটল ধরেছিল। তারপর শুক্রবারের বৃষ্টিতে বাড়িটি ভেঙে পড়েছে। শুক্রবার দুপুরের এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মনে।