SSC Recruitment Case: ফেরত দিতে হবে বেতন, পরেশের মেয়েকে স্কুলে ঢুকতে না দেওয়ার নির্দেশ আদালতের

SSC Recruitment Case: পরীক্ষা না দেওয়া সত্ত্বেও পরেশ অধিকারীর মেয়ের নাম প্যানেলে উঠেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই হয় মামলা। আর সেই মামলায় চাপ বাড়ল মন্ত্রীর।

SSC Recruitment Case: ফেরত দিতে হবে বেতন, পরেশের মেয়েকে স্কুলে ঢুকতে না দেওয়ার নির্দেশ আদালতের
হাইকোর্টে চাপ বাড়ল পরেশের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 20, 2022 | 6:49 PM

কলকাতা: যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও চাকরি পেয়েছেন, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের বিরুদ্ধে। মন্ত্রী তথা প্রভাবশালী ব্যক্তির মেয়ে বলেই পরীক্ষা ছাড়াই তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় এবার আরও বড় ধাক্কা রাজ্যের। পরেশের মেয়ে অঙ্কিতাকে যাতে স্কুলে প্রবেশ করতে না দেওয়া হয়, শুক্রবার ডিআই-কে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। পাশাপাশি, অঙ্কিতার বেতন বন্ধ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এতদিন ধরে যা বেতন পেয়েছেন, তা ফেরত দিতে হবে অঙ্কিতাকে। ২০১৮ সালে তাঁর নিয়োগ হয়।

এসএসসি-র নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনেক দিনের। মামলা-মোকদ্দমাও হয়েছে অনেক। কিন্তু পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, তা কার্যত নতুন মোড় দিয়েছে এসএসসি মামলায়। মন্ত্রীর মেয়ের নাম কী ভাবে মেধাতালিকার শীর্ষে চলে এল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রাপ্ত নম্বর বেশি হওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁর নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়, সেই প্রশ্ন তুলেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরি প্রার্থী ববিতা সরকার। এরপরই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসে। সামনে আসে পরেশ অধিকারীর নাম। ইতিমধ্যেই আদালতের নির্দেশে পরেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেও শুরু করেছে সিবিআই। এরই মধ্যে কার্যত অঙ্কিতার শিক্ষিকা পরিচয় কেড়ে নেওয়ার কথা বলল আদালত।

বিচারপতি এ দিন উল্লেখ করেছেন, একজন শিক্ষক যদি এ ভাবে চাকরি পেয়ে থাকেন, তাহলে সেটা মানুষের সঙ্গে একটা বড়সড় প্রতারণা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বারবার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় উল্লেখ করেছেন, শিক্ষকেরা ঈশ্বরের সামিল। বাবা-মায়েদের পরেই শিক্ষকের স্থান। আর অঙ্কিতার মামলার ক্ষেত্রেও বিচারপতি উল্লেখ করেছেন, একজন শিক্ষকতা করার পর জানা গিয়েছে যে তিনি প্রতারণা করে চাকরি পেয়েছেন, সেটা ঠিক নয়। তাই আজ থেকে অঙ্কিতা নিজেকে শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিতে পারবেন না বলেও উল্লেখ করেছেন বিচারপতি।

শুক্রবার সকালেই দ্বিতীয়বারের জন্য তলব করা হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে। বৃহস্পতিবার তাঁকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে। এরপর শুক্রবার সকালেই ফের সিবিআই দফতরে পৌঁছেছেন তিনি। তাঁর মেয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন করা হবে বলে সূত্রের খবর।