Govt Hospital: সরকারি ক্লিনিকে যেতে ‘না’ করছেন ডাক্তারবাবুরাই! কেন সাধারণের করের টাকায় অতিরিক্ত খরচ?

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Nov 08, 2021 | 2:57 PM

Health Department: ডাক্তারবাবুরাই নাকি বলছেন বেসরকারি ক্লিনিকে যেতে, ব্যক্তিগত স্বার্থ আছে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য ভবন।

Govt Hospital: সরকারি ক্লিনিকে যেতে না করছেন ডাক্তারবাবুরাই! কেন সাধারণের করের টাকায় অতিরিক্ত খরচ?
শহরে করোনা আক্রান্ত বহু চিকিৎসক

Follow Us

কলকাতা : সরকারি হাসপাতালে (Govt Hospital) রয়েছে দুই ধরনের ক্লিনিক। দুটিতেই নিখরচায় এক্স-রে (X-Ray) বা অন্যান্য পরীক্ষা করাতে পারেন সাধারণ মানুষ। একটি সরকারি ক্লিনিক ও অন্যটি পিপিপি মডেলে তৈরি ক্লিনিক। স্বাভাবিকভাবেই দ্বিতীয়টি সরকার- বেসরকারি যৌথ প্রয়াসে তৈরি হওয়ায়, সেখানে পরীক্ষার খরচ বেশি। তাই খরচ কমাতে সরকার নির্দেশ দিয়েছিল যাতে পিপিপি মডেলের ক্লিনিকে কম পরীক্ষা করানো যায়। কিন্তু, সেই নির্দেশিকা জারির পর কয়েক মাস কেটে গেলেও কোনও প্রভাব পড়েনি শহরের সরকারি হাসপাতালগুলিতে। সরকারি ক্লিনিক কার্যত ফাঁকা। কোথাও কোথাও ক্লিনিক খোলাই হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই পিপিপি মডেলে তৈরি ক্লিনিকে পরীক্ষার অতিরিক্ত খরচের বোঝা চাপছে সরকারের ওপর। সাধারণের করের টাকা দিয়েই দিতে হচ্ছে ভর্তুকি।

গত অগস্ট মাসে ওই সংক্রান্ত নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। সেখানে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে বলা হয়েছিল, পিপিপি মডেলের ক্লিনিকের ওপর চাপ কমিয়ে সরকারি ক্লিনিকে পরীক্ষা করাতে, তাতে সরকারের খরচ কিছুটা কমবে। সেই নির্দেশিকা প্রকাশের মাস কয়েক পরও দেখা গেল  সরকারি ক্লিনিকে রোগী নেই বললেই চলে। কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে দেখা গেল, বেলা বাড়লেও সরকারি ক্লিনিক খোলার নাম নেই। আর  পিপিপি মডেলের ক্লিনিকের সামনে এক্স-রের লম্বা লাইন।

কী যুক্তি রোগীদের?

কেন সরকারি ক্লিনিক ছেড়ে পিপিপি মডেলের ক্লিনিকে যাচ্ছেন রোগীরা, প্রশ্নের উত্তরে রোগীর পরিজনেরা জানাচ্ছেন, চিকিৎসকেরাই তাঁদের এই সব ক্লিনিকে যাওয়ার কথা বলছেন। ওয়ার্ডের কর্মীরাও তাঁদের ওই পথই দেখাচ্ছেন। এক রোগী বলেন, ‘ডিজিটাল এক্সরে করানোর আছে, তাই ডাক্তারবাবু বলেছেন এখানে আসতে।’ কেউ বললেন, ‘ওখান (সরকারি ক্লিনিক) থেকে বলে দিয়েছে হবে না। তাই এখানেই করাতে হবে।’ কারও কথায়, ‘এতে আমাদের কিছু করার নেই ডাক্তারবাবুরা যেখানে বলছেন সেখানেই যাব।’

পিপিপি মডেলের ক্লিনিকের কর্মীরা কী জানাচ্ছেন?

এক কর্মী জানান, আসলে পিপিপি মডেলের ক্লিনিকে যন্ত্রপাতি অনেক ভাল মানের। তাই ছবি ভাল ওঠে, তাই এখানেই এক্স রে করাতে বলেন চিকিৎসকেরা। তিনি জানান, ভাল ছবি না উঠলে চিকিৎসার ক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে। পাশাপাশি এই ক্লিনিকে দ্রুত ছবি ওঠে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, যে সময়ে সরকারি  ক্লিনিকে একটা ছবি ওঠে, সেই সময়ে এই ক্লিনিকে দুটো ছবি উঠতে পারে।

তবে স্বাস্থ্য ভবনের বক্তব্য, যন্ত্রপাতি একই আছে দুই ক্লিনিকে। ব্যক্তিগত স্বার্থে এই কাজ করা হচ্ছে। ওই বিষয়ে, তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, নিশ্চয় বিষয়টা স্বাস্থ্য ভবনের চোখে পড়েছে। সরকার অবশ্যই এই বিষয়ে নজর রাখছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টিভি নাইন বাংলায় এই খবর প্রকাশ হওয়ার পর এন‌আর‌এসের এম‌এসভিপি ইন্দিরা দে মেনে নিয়েছেন যে, সরকারি পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও পিপিপি মডেলে যে বেশি এক্স-রে হচ্ছে। এক‌ই সঙ্গে তিনি জানান, কেন এমন হচ্ছে তা দেখতে যাতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় সেই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি হয়েছে।

আরও পড়ুন : আজও অন্তরালেই থাকলেন, ‘দাদা’র স্মৃতিচারণার মুহূর্তে মমতা নিজেকে ব্যস্ত রাখলেন নবান্নে ফাইলের ফাঁসে

Next Article