Durga Puja: উলটপুরাণ! যেন গোটা বাংলাদেশ উঠে এল দক্ষিণ কলকাতায়!
Durga Puja: প্যান্ডেল দেখতে দেখতে আপনার চোখ আটকে যেতে পারে কিছু পোস্টারে। যেখানে লেখা 'বরিশাল নথুল্লাবাদ গ্রামবাসীর সম্মিলিত দুর্গোৎসব', কোথাও বা আবার পোস্টারে লেখা 'কুনিয়া গ্রামের ধর পরিবারের ২৯৩ বছরের পূজা'। পাশেই মহা ধুমধামে আজও পালিত হচ্ছে বরিশালের জ্ঞান ঘোষ পরিবারের দুর্গাপূজা।
কলকাতা: পুজোর ভিড়ে এ এক অন্য পুজোর গল্প। ফেলে আসা দেশের বাড়ির স্মৃতির পুজোর এই সব গল্প ছড়িয়ে আছে বিজয়গড়ের বাঙালপাড়াজুড়ে। কোথাও বরিশাল, তো কোথাও আবার ফরিদপুর জেলা। কোথাও গ্রামের পূজা, কোথাও বা আবার পরিবারের পূজা। আজও পালিত হচ্ছে নিয়ম, রীতি মেনে।
প্যান্ডেল দেখতে দেখতে আপনার চোখ আটকে যেতে পারে কিছু পোস্টারে। যেখানে লেখা ‘বরিশাল নথুল্লাবাদ গ্রামবাসীর সম্মিলিত দুর্গোৎসব’, কোথাও বা আবার পোস্টারে লেখা ‘কুনিয়া গ্রামের ধর পরিবারের ২৯৩ বছরের পূজা’। পাশেই মহা ধুমধামে আজও পালিত হচ্ছে বরিশালের জ্ঞান ঘোষ পরিবারের দুর্গাপূজা। টিনের দুর্গা দালানটি এখন নেই। কিন্তু পরিবারের টিনের দোতলা বাড়িটি আজও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে।
ধর পরিবারের পক্ষে সরিত কুমার ধর জানান, “১৯৪৭ সালে আমাদের পরিবার ভারতে চলে আসে। আমাদের পরিবারের পূর্বপুরুষ রমেশচন্দ্র ধর ও তার পাঁচ ভাই চলে আসেন দেশ ভাগের পর। এখন আমাদের পরিবারে আমরা বিজয়গড়ে বেশ কয়েক ঘর আছি। এছাড়াও কলকাতার বহু জায়গায় আমাদের আত্মীয়রা ছড়িয়ে আছেন। দেশের বাড়ির এই পূজাটা সবাই মিলেই চালিয়ে যাচ্ছি।”
অন্যদিকে বিজয়গড় ছয় নম্বর ওয়ার্ডে বরিশাল নথুল্লাবাদ গ্রামবাসীদের সম্মিলিত দুর্গোৎসবও চলছে পরম আন্তরিকতায়। ছোট আয়োজনে আন্তরিক প্রয়াস। ফেলে আসা দেশের বাড়ির স্মৃতি উদযাপন করছেন প্রায় ৮০ ঘর পরিবার। এই পরিবারগুলোও ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর বিজয়গড়, নেতাজিনগর অঞ্চলে চলে আসে। সক্রিয় সদস্যদের অনেকেই বয়স্ক হয়েছেন। তবু স্মৃতি আঁকড়ে চালিয়ে যাচ্ছেন পূজার আয়োজন।