Madan Mitra: ‘খবর দেখি না, খবর পড়ি না…খবর তৈরি করি’, ‘ফাটাকেষ্ট’ মিঠুনের বুলি মদনের মুখে

Madan Mitra: তর্পণের পর গঙ্গার ঘাটে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষের ছবিতে মালাও পরাতে দেখা যায় মদনকে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

Madan Mitra: ‘খবর দেখি না, খবর পড়ি না…খবর তৈরি করি’, ‘ফাটাকেষ্ট’ মিঠুনের বুলি মদনের মুখে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 27, 2022 | 10:46 PM

কলকাতা: রবিবার মহালয়ার (Mahalaya) দিন বাবুঘাটে তর্পণ করতে গিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Trinamool MLA Madan Mitra)। তাঁর কর্মকাণ্ড নিয়ে তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক বিতর্ক। ওই দিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) ছবিও নিয়ে আসেন তর্পণ করতে। তর্পণের পর গঙ্গার ঘাটে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষের ছবিতে মালাও পরাতে দেখা যায় মদনকে। বলেন, “ওঁরা বেঁচে থাকুক। সপরিবারে সুস্থ থাকুক। কিন্তু বিজেপির রাজনৈতিকভাবে যে অপমৃত্যু ঘটবে।” যা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে চলছে জোরদার বিতর্ক। 

ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মদনের সতীর্থ তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “দল এই ধরনের ছ্যাবলামোকে সমর্থন করে না।” অন্যদিকে তোপ দেগেছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “পাবলিসিটি পেতে এমন কাজ করছে।” তবে দলেরই একাধিক শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্বের কটাক্ষ মুখে পড়েও দমে যাওয়ার পাত্র নন মদন। ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করে ফিরহাদের উদ্দেশে মদন বলেন, “ববি, তুই আমার থেকে অনেক ছোট। তবু তোকে আমি অনুরোধ করছি, তুই খুব ভাল করে আমার স্টেটমেন্টটা পড়ে দেখ। দিলীপ বাবু যত অসভ্যতা করেছেন আজ অবধি, তার পঞ্চাশ গুণ সভ্য়তা করে আমি অন্তত ৫০ বার বলেছি, দিলীপ বাবুর পরিবারের সমৃদ্ধি, দীর্ঘায়ু ও কুশল কামনা করছি। দিলীপ বাবু আপনিও ভাল থাকুন।” 

একইসঙ্গে ফেসবুক লাইভে এসে মদনের মুখে কার্যত শোনা গেল ‘ফাটাকেষ্ট’ মিঠুন চক্রবর্তীর ডায়লগের ছায়া। মদন বলেন, “দিলীপবাবু সহ সবাইকে বলছি। আমর একটা তর্পন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ তোলপাড় হচ্ছে। বহু নেতৃবৃন্দ মন্তব্য করছে। যাঁরা মন্তব্য করছেন তাঁদের কাছে আমার বক্তব্য মন্তব্য করার জন্য মদন মিত্রের তর্পন ছাড়া এই কড়মিদের আন্দোলনে কী হল, আজকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কী তৎপরতার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগমের কর্মীদের আন্দোলনের মাঝে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে ফের রাস্তা খুলে দিয়েছেন, এরকম বহু বিষয়ে কথা বলা যায়।” এখানেই না থেমে কার্যত সিনেম্যাটিক কায়দায় বলতে শোনা যায়, “সবার আগে আমি আমার ছোট ভাই ফিরহাদ হাকিমকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার একটা বাজে স্বভাব হচ্ছে ২০১৩ সালে আমার একটা ঘটনা হয়েছিল। তারপর থেকে আমি খবর দেখি না, খবর পড়ি না, শত্রুরা বলে আমি নাকি খবর তৈরি করি। ফিরহাদ যে কিছু বলেছে আমি এটা দেখিনি। একজন এসে আমায় দেখায়। এটাকে বলে স্পোর্টসম্যান স্পিরিট। যেটা ভাবছেন, সেটা বলছেন।”