কলকাতা: স্কুল খোলার দাবিতে একদিকে পথে নামছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। একইসঙ্গে একের পর এক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টে। স্কুলছুটদের ক্লাসরুমে ফেরাতে বৃহস্পতিবার আরও একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। দায়ের করেছেন এক স্কুল শিক্ষক। এই নিয়ে মোট চারটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল এই একই দাবিতে।
মামলাকারীর দাবি, স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়ছে। অনেক পড়ুয়াই অনলাইন পঠনপাঠনের পরিকাঠামোয় সড়গড় নয়। এর জেরেই স্কুলে ড্রপ আউট বাড়ছে বলেও আদালতকে জানিয়েছেন ইছাপুর হাইস্কুলের শিক্ষক প্রিয়ঙ্কর ভট্টাচার্য। স্কুলছুটদের ফেরাতেই তাঁর এই জনস্বার্থ মামলা বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে মামলাকারীর দাবি, এবার স্কুলগুলি খোলা হোক। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রবীণ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে শুক্রবার এই মামলার শুনানি হবে।
স্কুল খোলার দাবিতে বৃহস্পতিবারই একাধিক ছাত্র সংগঠন ময়দানে নামতে চলেছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে স্কুল খোলার দাবিতে এসএফআই একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি রেখেছে। এই কর্মসূচি শেষ হওয়ার ৩০ মিনিটের ব্যবধানে একই জায়গায় আন্দোলন করবে এবিভিপি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেও স্কুল খোলার দাবিতে এসএফআই-এর বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে বৃহস্পতিবার।
গড়ফা ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা মৌসুমী দেব বসু আগেই জানিয়েছিলেন, “আমাদের স্কুলে আগে কম্পিউটার ছিল না। বেশ কিছু বছর হল এসেছে। কিন্তু করোনায় তো সবই বন্ধ। বাচ্চাদের পড়ানোর উপায় নেই। করোনা পরবর্তী সময়ে ছোট ছেলেমেয়েদের বিশেষ করে যাদের পরিবার শ্রমজীবী, সেই সব বাচ্চাদের স্কুলে ধরে রাখাটা খুবই কঠিন। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হওয়া দরকার।”
গত সোমবারই পাড়ায় শিক্ষালয় প্রকল্প চালু করেছে শিক্ষা দফতর। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে জানান, সব স্কুলই ধাপে ধাপে খোলা যাবে। রাজ্য সরকার স্কুল খোলার পক্ষেই। কিন্তু সমস্ত দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে চায় তারা। স্কুল খুলে ফের তা বন্ধ করে দেওয়ার পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় সেদিকটাই বিবেচনা করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি দেখে স্কুল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেই সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।