কলকাতা: আসন্ন পুরভোটে অনলাইন প্রচারে জোর দিতে নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে কমিশন আবেদন করে, ক্রমবর্ধমান কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে জমায়েত সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলুক তারা। বরং সভা, মিটিং মিছিল, রোড-শো বন্ধ করে সামাজিক বা ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার করুক দলগুলি।
কমিশনের আরও নির্দেশ, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জারি করা কোভিড বিধি মানতেই হবে। অন্যথায় বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। এমনকী আগে যদি মিটিং মিছিল সংক্রান্ত কোনও অনুমতি রাজনৈতিক দলগুলির নেওয়াও থাকে, তা হলেও জেলা প্রশাসনকে তা বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কোভিড বিধি নিয়ে গত ৩ জানুয়ারি প্রচারের ক্ষেত্রে কমিশন যে নির্দেশ জারি করেছিল তা পরিবর্তন করেই নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে শনিবার। কোভিড বিধি না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। তবে ডিজিটাল প্রচার না করলে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা কোথাও বলা নেই। ফলে প্রশ্ন উঠছে, কেন কঠোরভাবে কোনও নির্দেশিকা রাজ্য নির্বাচন কমিশন জারি করছে না।
এর আগে কমিশনের তরফে ভোট প্রচারের জন্য যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, সেখানে বলা হয় কোনও রোড শো কিংবা পদযাত্রা নয়। গাড়ি, বাইক র্যালি সমস্ত কিছুই করোনার কথা ভেবে বাদ দিতে বলেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে আগে অনুমতি নেওয়া থাকলেও রোড শো বাতিল করার কথা বলা হয়েছিল। যদিও আগের কলকাতার পুরভোটে ৪টে পর্যন্ত রোড শো করার অনুমতি পেয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলি।
একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দেয় প্রত্যেক পুরনিগম এলাকায় নোডাল হেলথ অফিসার নিয়োগ করার। টিকাকরণের ক্ষেত্রেও কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। প্রার্থী, গণনার এজেন্ট, পোলিং অফিসার সকলেরই টিকার সম্পূর্ণ ডোজ় নেওয়া আবশ্যক। নিদেন পক্ষে প্রথম ডোজ় তো নেওয়া থাকতেই হবে।
একই সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বলেছিল, খোলা মাঠে জনসমাবেশের ক্ষেত্রে ৫০০ জনের বেশি লোক যেন না থাকে। প্রবেশপথ ও প্রস্থানপথ আলাদা করতে হবে। অডিটোরিয়াম হলে সর্বাধিক ২০০ জন থাকতে পারবেন। প্রচারের সময়ও কমানো হয়।
শনিবার আবার নতুন নির্দেশিকা জারি করে ডিজিটাল প্রচারে প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলিকে জোর দিতে বলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। যদিও তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই নির্দেশিকায় কোথাও উল্লেখ নেই, যদি কোনও প্রার্থী ডিজিটাল প্রচারে জোর না দিয়ে ময়দানের প্রচারেই বেশি ঝোঁকেন তা হলে সেক্ষেত্রে কমিশন কঠোর কোনও অবস্থান নেবে কি না। প্রসঙ্গত শনিবারও রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ ১৮ হাজার পার করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮০২ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের।
আরও পড়ুন: Covid Spike: এনআরএসের কার্ডিওলজিতে বাড়ছে সংক্রমণ, ২১ জনের মধ্যে ৯ চিকিৎসকই পজিটিভ