Covid Spike: এনআরএসের কার্ডিওলজিতে বাড়ছে সংক্রমণ, ২১ জনের মধ্যে ৯ চিকিৎসকই পজিটিভ
NRS: এনআরএসের শুধু কার্ডিওলজি বিভাগই নয়, করোনার ঘায়ে কাবু মাইক্রোবায়োলজি, এন্ডোক্রিনোলজি, পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগও।
কলকাতা: এনআরএস হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগে এবার করোনার কামড়। বিভাগের ২১ জন চিকিৎসকের মধ্যে আক্রান্ত ৯ জন। সূত্রের খবর, কার্ডিওলজি বিভাগের তরফে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে, খুব গুরুতর না হলে রোগীকে যেন না পাঠানো হয়।
এনআরএস সূত্রের খবর, কার্ডিওলজি বিভাগের একমাত্র আরএমও, চারজন সিনিয়র রেসিডেন্টের মধ্যে ২ জন, ৫ জন হাউস স্টাফের মধ্যে ২ জন, ৬ জন পিডিটি’র মধ্যে ২ জন, পাঁচজন ভিপি’র মধ্যে ২ জন মিলিয়ে মোট ৯ জন কোভিড পজিটিভ। ফলে খুব কম সংখ্যক চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী আপাতত কোভিডের স্পর্শ থেকে দূরে।
এই অবস্থায় নাগাড়ে রোগী আসতে শুরু করলে তা নিঃসন্দেহে পরিকাঠামোর উপরও চাপ তৈরি করবে। সূত্রের খবর, সে কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে কার্ডিওলজি বিভাগ থেকে আবেদন করা হয়েছে, এমার্জেন্সি বুঝে যেন রোগী পাঠানো হয়। এনআরএসের শুধু কার্ডিওলজি বিভাগই নয়, করোনার ঘায়ে কাবু মাইক্রোবায়োলজি, এন্ডোক্রিনোলজি, পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগও।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, এনআরএস হাসপাতালের যে ছবিটা এই মুহূর্তে উঠে এসেছে তা একটা প্রতীকী মাত্র। এই মুহূর্তে শহর কলকাতার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলির যা পরিস্থিতি তাতে সর্বত্রই আগামী সপ্তাহ থেকে পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটা চাপের পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা রয়েছে।
ইতিমধ্যেই কলকাতা মেডিকেল কলেজে প্লাস্টিক সার্জারি ও রিউম্যাটোলজি বিভাগে সোমবারের ওপিডি বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এনআরএসের কার্ডিওলজি বিভাগে ইকো কিংবা অন্যান্য বিভাগীয় পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সমস্যা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। কারণ এক সঙ্গে এতজন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যে রোগীরা ভর্তি রয়েছেন তাঁদেরই যথাযথ পরিষেবা দেওয়া নিয়ে সন্দিহান কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকরা।
পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান-সহ অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগেরও দু’জন কোভিড পজিটিভ। গাইনো-বিভাগেরও অনেকের মধ্যে কোভিডের হদিশ মিলেছে। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগেও প্রায় আট থেকে ন’জন করোনা আক্রান্ত। এখানে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ আরটিপিসিআর ল্যাবটি পরিচালনা করে। ফলে সেই ক্ষেত্রেও একটা সমস্যার পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা রয়েছে।
রাজ্যজুড়ে কোভিডের বাড়বাড়ন্ত। বার বার প্রশ্ন উঠছিল এই সংক্রমণ কি ডেল্টার প্রকোপ নাকি ওমিক্রনই ছড়ি ঘোরাচ্ছে। সূত্র মোতাবেক জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিকেল জিনোমিক্সে ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে, তাতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাই ৭১.২ শতাংশ। অর্থাৎ এ রাজ্যে ৭০ শতাংশের উপরে ওমিক্রন আক্রান্ত।
চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকারের মতে, “এতটুকুই নিশ্চিন্তি দিচ্ছে ওমিক্রনের ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে মৃত্যু হার ১ শতাংশের নীচে। স্বাভাবিকভাবেই ডেল্টার মতো যে মৃত্যু হার হবে না সেটা বোঝা যাচ্ছে। তবে ৭১ শতাংশ ওমিক্রন হলে আর কখনও ৫ লক্ষ দৈনিক সংক্রমণ হলে তবে পশ্চিমবঙ্গে ৪ হাজার ৯০০ আইসিইউ বেড ভরতে পারে। অর্থাৎ এই মুহূর্তে যদি ৭ হাজার কেস থেকে থাকে তা হলে আগামী দু’ সপ্তাহের মধ্যে একটা নিয়ন্ত্রণে আনতেই হবে।”
আরও পড়ুন: Ritabrata Banerjee: আইএনটিটিইউসি-র নামে তোলাবাজি চলছে! প্রশাসনের দুয়ারে ধরনার হুঁশিয়ারি ঋতব্রতের