কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কয়েকদিন আগেই অন্তর্বতী রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর সেই রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে রাজ্য। রাজ্যের হয়ে পুনর্বিবেচনার মামলার শুনানির আবেদন জানিয়েছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল। আজ বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চে সেই আর্জি জানান তিনি। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বাবার সদ্য মৃত্যু হওয়ায় কবে এই মামলা শোনা হবে, সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি আদালত।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অন্তর্বতী রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই রায়ে বলা হয়েছে, অভিযোগের তদন্তের ক্ষেত্রে রাজ্যের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। পাশাপাশি, যাদবপুরে মানবাধিকার কমিশনের ওপর আক্রমণের ঘটনায় শোকজ করা হয়েছে পুলিশ আধিকারিক রশিদ মুনির খানকে। ওই ঘটনায় কারণ দর্শাতে হবে তাঁকে। সেই রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হল বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয় বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বাবা মারা গিয়েছেন। তাই বৃহত্তর বেঞ্চ কবে বসবে, সে ব্যাপারে এখনও কোনও নির্দেশিকা নেই। বৃহত্তর বেঞ্চের জন্য অপেক্ষা করতেই হবে রাজ্যকে৷
আরও পড়ুন: ‘স্ত্রীকে গলা টিপে মেরে ফেলেছি’, থানায় গিয়ে নিজেই জানালেন স্বামী, খাস কলকাতায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে গত ২ জুলাইয়ের ওই অন্তবর্তী নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। রাজ্যের অভিযোগ, রাজ্যের বক্তব্য না শুনেই একতরফা নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। রাজ্যের তরফে দাবি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে সব রকমের সহযোগিতা করেছে প্রশাসন। ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে। সেই সব অভিযোগ এক জায়গায় করে রিপোর্ট তৈরি করেছে মানবাধিকার কমিশন। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ওই সব অভিযোগের এফআইআর নিতে হবে পুলিশকে। পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করতে মানবাধিকার কমিশনকে অতিরিক্ত সময়ও দেওয়া হয়।