Post Poll Violence Case: মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা কাঁকুরগাছির নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jul 14, 2022 | 10:32 AM

Post Poll Violence Case: একুশের ভোটের ফলপ্রকাশের দিন ২ মে কাঁকুরগাছিতে খুন হন অভিজিৎ সরকার। তাঁকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। এই মামলা নিয়ে প্রথম থেকেই অনেক জলঘোলা হয়েছে। প্রথমে মৃতের দেহের ময়নাতদন্ত নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়।

Post Poll Violence Case: মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা কাঁকুরগাছির নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

Follow Us

কলকাতা: এবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হল। ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হওয়া অভিজিৎ সরকারের পরিবার মামলা দায়ের করল মুখসচিবের বিরুদ্ধে। হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও ক্ষতিপূরণ না দেওয়ায় অভিযোগে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলেছে অভিজিৎ সরকারের পরিবার। এই মামলার শুনানি হবে 8 জুলাই। ওই দিন অন্য ভোট পরবর্তী হিংসা মামলারও শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।

একুশের ভোটের ফলপ্রকাশের দিন ২ মে কাঁকুরগাছিতে খুন হন অভিজিৎ সরকার। তাঁকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। এই মামলা নিয়ে প্রথম থেকেই অনেক জলঘোলা হয়েছে। প্রথমে মৃতের দেহের ময়নাতদন্ত নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। অভিজিতের দেহের দু’বার ময়নাতদন্ত হয়। ঘটনার মূল অভিযোগের তির ছিল, বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পালের দিকে। তাঁকে এই মামলায় সিবিআই-এর মুখোমুখিও হতে হয়।  এই মামলায় আদালতের নির্দেশ ছিল, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ২০ জুনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, ক্ষতিপূরণের টাকা নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে দেওয়া হয়নি।

আদালত মুখ্যসচিবকে তারপর ১৪ দিনের নোটিস দেয়। ৫ জুলাইয়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এক্ষেত্রেও দেখা যায়, পাঁচ সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পরও ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হয়নি।

সম্প্রতি নবান্নে গিয়েছিলেন অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ। তিনি মুখ্যসচিবের দফতরে একটি চিঠিও দেন। তাতে লেখা রয়েছে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্য সরকার আদালতের নির্দেশের মতো ক্ষতিপূরণের টাকা না দিলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন। শেষমেশ মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে মামলা করল অভিজিৎ সরকারের পরিবার।

Next Article