কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে জোরকদমে ঘুঁটি সাজাচ্ছে সিবিআই। হাইকোর্টের নির্দেশ পেতেই দল তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই শুরু কাজও। সোমবারই কলকাতায় পৌঁছচ্ছেন চার টিমের চার কর্তাও। কী ভাবে এগোবে তদন্ত? ব্লু-প্রিন্টই বা কী? আলোচনা হবে তা নিয়ে।
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশের পর গত শুক্রবার রাতেই বিশেষ দল গঠন করে সিবিআই। রাজ্য জুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যা যা অভিযোগ হয়েছে, রাজ্যের কাছে সেগুলির সমস্ত কপিই চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সোমবারই বেলেঘাটায় নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই তদন্তকারীরা। কলকাতার মধ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সব থেকে বড় অভিযোগ অভিজিতের মৃত্যুই।
এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা বিশ্বজিৎ সরকারকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। তাঁর কাছ থেকে ঘটনার বিবরণী জানতে চান বলে সূত্রের খবর। কারা সেদিন ঘটনাস্থলে ছিল, কাদের বিরুদ্ধে সরকার পরিবারের মূল অভিযোগ, কার নেতৃত্বে এই হামলা, কতজন গ্রেফতার হয়েছে সমস্ত বিষয়ে বিশ্বজিতের কাছে জানতে চাওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। একই সঙ্গে এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ভূমিকা কী ছিল, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। বিশ্বজিত সরকারের বক্তব্য, “এবার বিচার পাব সেই আশাতেই রয়েছি আমরা।”
রাজ্যকে চারটি জ়োনে ভাগ করে তদন্তের জন্য চারটি দল তৈরি করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ এই চার ভাগে রাজ্যকে ভাগ করবে তারা। এরপর যে সমস্ত জায়গা থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠেছে, তা ঘুরে দেখবে। কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে এই তদন্তে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেও সূত্রের দাবি। আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলবে। প্রতিটি টিমের নেতৃত্বে একজন করে জয়েন্ট ডিরেক্টর থাকছেন। রয়েছেন একজন করে ডিআইজি স্তরের আধিকারিকও। প্রতি টিমে চার জন করে এসপি স্তরের আধিকারিক রয়েছেন। সঙ্গে একজন করে মহিলা অফিসারও থাকছেন। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে যে চারটি সিবিআই দল তৈরি হয়েছে, কর্মী-আধিকারিক মিলিয়ে প্রায় ১০০ জন রয়েছেন তাতে। সিবিআই সূত্রের খবর, ঠিকমতো তদন্তের জন্য নতুন অফিসের খোঁজ শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও ভবনেই সেই অফিস হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
গত ১৯ অগস্টই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত করবে সিবিআই। একইসঙ্গে গঠন করা হয় সিট। পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চের নির্দেশ, আদালতের নজরদারিতে খুন, ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। অন্যান্য অভিযোগের তদন্ত করবে সিট। সিটের তদন্তের নজরদারিতে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। আরও পড়ুন: ‘নাকখত দিতে দিতে ছাদে নিয়ে যায়, তারপরই ধাক্কা ভাইকে!’ দাদা-বৌদির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক পাড়ার লোকজন