Potato Price: প্রয়োজনে হিমঘর থেকে বার করতে হবে আলু, DM-দের ‘যুদ্ধকালীন’ নির্দেশ নবান্নের

Potato Price: বিশেষ করে যে সব জেলাতে আলু চাষ হয় এবং হিমঘর রয়েছে, সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের তৎপরতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। প্রয়োজনে হিমঘরে গিয়ে আলু বের করে আনারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

Potato Price: প্রয়োজনে হিমঘর থেকে বার করতে হবে আলু, DM-দের 'যুদ্ধকালীন' নির্দেশ নবান্নের
আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে তৎপর নবান্নImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 24, 2024 | 3:17 PM

কলকাতা:  বাজারে অগ্নিমূল্য আলু। বুধবারও কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কিলো দরে। জোগান কম, চাহিদা বেশি, হু হু করে বাড়ছে আলুর দাম। এই পরিস্থিতি আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে তৎপর প্রশাসন। বাজারে আলুর জোগান বাড়াতে হিমঘর থেকে আলু বের করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা। কোনওভাবেই বাজারে যাতে আলু সঙ্কট তৈরি না হয়, তা দেখতে মুখ্যসচিব জেলাশাসকদের নির্দেশ দেন। বিশেষ করে যে জেলাতে আলু চাষ হয় এবং হিমঘর রয়েছে, সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের তৎপরতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। প্রয়োজনে হিমঘরে গিয়ে আলু বের করে আনারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

গত কয়েক সপ্তাহে মধ্যবিত্তের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে রোজকার বাজার-পর্ব। সবজি, কাঁচা আনাজের দাম তো আগুন ছিলই, কিন্তু আলু দাম তড়তড়িয়ে বাড়ায় রীতিমতো অবসাদে ভুগছেন মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্তরা। বাজারটা করবেন কী? সোমবার পর্যন্ত জ্যোতি আলুর দাম ছিল ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা, চন্দ্রমুখী ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। মঙ্গলবার তা প্রতি ক্ষেত্রেই কিলো দরে অনেকটাই বেড়েছে। ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কিলো দরে আলু বিকোচ্ছে। কিন্তু কেন?

রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে জুলুমবাজি-সহ একগুচ্ছ অভিযোগে সোমবার থেকে কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। হিমঘর থেকে আলু বার করছেন না ব্যবসায়ীরা। সোমবার সেই কর্মবিরতিতে সামিল হননি সিঙ্গুর ও হরিপালের ব্যবসায়ীরা। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে তাঁরাও সামিল হয়েছেন। ফলে সোমবার সিঙ্গুর ও হরিপালের হিমঘর থেকে যে পরিমাণ আলু বাজারে এসেছে, তারও স্টক ফুরিয়েছে। তড়তড়িয়ে বাড়ছে আলুর চাহিদা। জোগান কম, চাহিদা বেশি, তাই দাম বাড়ছে হু হু করে।

বুধবারই প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসছে। রাজ্য সরকারের তরফে থাকছেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। কিন্তু সেই বৈঠকের নির্যাস কী হয়, তার আগেই নবান্নের তরফে জেলাশাসকদের কাছে পৌঁছে গেল কড়া নির্দেশিকা।