কলকাতা: ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সিপিএমের তাস প্রতীক উর রহমান। এলাকারই বাসিন্দা প্রতীক উর বামেদের তরুণ ব্রিগেডের অন্যতম মুখ। ৩৪ বছর বয়সী প্রতীক উরের উত্থান ছাত্র রাজনীতি থেকে। ডায়মন্ড হারবারের ফকিরচাঁদ কলেজের ছাত্র ছিলেন তিনি। বর্তমানে এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদের পাশাপাশি সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য প্রতীক উর। পারিবারিক ব্যবসা থাকলেও প্রতীক উর দলের কাজেই নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। হলফনামায় যে তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে, তাতে, প্রতীক উরের সম্পত্তি বলতে তেমন কিছুই নেই।
হলফনামায় প্রতীক উর রহমানের আয়ের খাতা শূন্য। বিগত পাঁচ বছরের কোনও আয়ের হিসেব দেননি সিপিএম প্রার্থী। তাঁর স্ত্রী সিরিন সুলতানারও কোনও আয়ের কথা উল্লেখ নেই হলফনামায়। প্রতীক উর ও সিরিন উভয়ের হাতেই রয়েছে নগদ ১০০০ টাকা করে।
দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকার রাখার কথা উল্লেখ করেছেন প্রতীক উর। প্রথম অ্যাকাউন্টে রাখা ৬ লক্ষ ১৮ হাজার ৯৮৪ টাকা নির্বাচনের কাজে ব্যবহারের জন্য রাখা বলে জানিয়েছেন প্রতীক উর। অপর অ্যাকাউন্টে আছে ৭ হাজার ৫১১ টাকা। তাঁর স্ত্রীর একটি অ্যাকাউন্টে ৪ হাজার টাকা ও অপর অ্যাকাউন্টে ১৭ হাজার ৬০০ টাকা আছে। কোনও বিমা বা পলিসিতে বিনিয়োগ করেননি তাঁরা।
প্রতীক উর রহমানের কোনও গাড়ি নেই। নেই কোনও সোনা বা মূল্যবান জিনিস। তাঁর স্ত্রীর কাছে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার সোনা আছে। সব মিলিয়ে প্রতীক উরের মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৬ লক্ষ ২৭ হাজার ৪৫৯ টাকা। তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য ৭৫ হাজার টাকা। কোনও জমি বা বাড়ি নেই প্রতীক উরের, নেই কোনও ঋণও। হলফনামায় প্রতীক উর নিজেকে সমাজকর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন, আর তাঁর স্ত্রী গৃহবধূ। আয়ের উৎস হিসেবে দলের দেওয়া ভাতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। রাজনীতি নিয়ে স্নাতক হওয়ার পাশাপাশি আইন নিয়েও পড়াশোন করেছেন প্রতীক উর।