Primary TET: ‘যোগ্যরা কেন চাকরি পায়নি!’ ফের ২৫২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

Calcutta High Court: ২০২০ সালে এই টেটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল। পরে জানা যায় আরও তিন হাজারের বেশি শূন্যপদ রয়ে গিয়েছে।

Primary TET: 'যোগ্যরা কেন চাকরি পায়নি!' ফের ২৫২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 26, 2022 | 4:21 PM

কলকাতা : পুজোর আগে ফের সুখবর। নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। আর এবার পুজোর ঠিক আগে সেই সব মামলায় পৃথকভাবে বহু প্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ আদালতের। প্রাথমিক টেট সংক্রান্ত মামলায় ২৫২ জনকে চাকরির দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার সেই মামলায় বিচারপতি বলেন, ‘যোগ্যরা কেন চাকরি পায়নি, তা স্পষ্ট নয়।’ এই মামলায় রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইলেও, তা দেওয়া হয়নি।

২০১৪ সালের টেটের প্রেক্ষিতে দুবার নিয়োগ সম্পন্ন হয়। ২০১৬ সালে ৪২ হাজার শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ হয়। এরপর ২০২০ সালে ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে, সেখানে ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদ ছিল বলে জানা যায়। নিয়োগ সম্পন্ন হওয়ার পর জানা যায়, ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদের মধ্যে ৩ হাজার ৯২৯ শূন্যপদে নিয়োগ হয়নি। কেন নিয়োগ হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা করেছিলেন ২৫২ জন চাকরি প্রার্থী। এ দিন ছিল সেই মামলার শুনানি।

৩ হাজার ৯২৯ শূন্যপদে কেন যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করা হল না, সেই প্রশ্নের জবাব দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে হলফনামা দিতে বলা হয়েছিল আদালতের তরফে। ইতিমধ্যেই মামলাকারীরা যাবতীয় নথি দিয়েছেন বোর্ডকে। রাজ্য জানায়, তারা তাদের সিদ্ধান্ত হলফনামায় জানাবে। তারপরও কিছু জানায়নি। সোমবার শুনানি থাকলেও, রাজ্য এ দিন কোনও হলফনামা দেয়নি।

এ দিন বিচারপতি পর্ষদকে জানিয়ে দেন, আর সুযোগ দেওয়া হবে না। এরপর ২৫২ জন মামলাকারীকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই ৩ হাজার ৯২৯ টি শূন্যপদের মধ্যেই ২৫২ জনকে চাকরি দিতে হবে। ৭ নভেম্বর এর মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ। যে দিন বিজ্ঞাপন প্রকাশ হয়েছিল, তার ওপর ভিত্তি করে বয়স বিচার করার কথা বলা হয়েছে। ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিজ্ঞাপন প্রকাশ হয়েছিল।

উল্লেখ্য, সোমবারই প্রাথমিকের অন্য একটি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৬৫ জনকে চাকরির নির্দেশ দিয়েছে। প্রাথমিকে ভুল প্রশ্নপত্রের মামলায় ওই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।