Health in West Bengal: মিডিয়ায় জানাজানি হতেই ‘বোধদয়’ কলকাতা মেডিকেল কলেজের, আধা ঘণ্টায় মিলল বেড

Health in West Bengal:বেডে শুয়ে কাতারাচ্ছেন বৃদ্ধা, মেলেনি চিকিৎসা! সংবাদমাধ্যমকে জানাতেই কলকাতা মেডিকেল কলেজের রোষের মুখে রোগীর পরিজনেরা।

Health in West Bengal: মিডিয়ায় জানাজানি হতেই 'বোধদয়' কলকাতা মেডিকেল কলেজের, আধা ঘণ্টায় মিলল বেড
ছবি- ফের সামনে এল বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 25, 2022 | 8:01 PM

সৌরভ দত্ত

বৃদ্ধার নাকে নল লাগানো রয়েছে। খাবি খাচ্ছেন প্রতি মুহূর্তে। কলকাতা মেডিকেল কলেজের(Calcutta Medical College) এম সি এইচ বিল্ডিংয়ে গত চার ঘণ্টার‌ও বেশি সময় ধরে পড়ে ছিলেন সত্যবালা কুণ্ডু (৭৬)। সোমবার সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃদ্ধাকে প্রথমে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কলকাতা মেডিকেল কলেজে পৌঁছন দুপুর ১২টা নাগাদ। সেই থেকে চিকিৎসা পাওয়ার আশায় স্ট্রেচারে শুয়ে খাবি খাচ্ছেন বৃদ্ধা। মাঝেমধ্যে ছেলেদের হাত ধরে যন্ত্রণা বোঝানোর চেষ্টা করছেন। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এনেছেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু তারপরেও দীর্ঘক্ষণ মেলেনি পরিষেবা। এ ভাবে সোমবার দিনভর সামনে এল বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল ছবি। যা নিয়ে সারাদিন চর্চা চলল কলকাতার প্রশাসনিক মহলে। অস্বস্তিতে পড়ল রাজ্য সরকার। অবশেষে কলকাতা মেডিকেল কলেজের স্বাস্থ্য সচিবকে বিষয়টি জানানো হলে তাঁর হস্তক্ষেপে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন ওই বৃদ্ধা। এদিকে তারমাঝে খবরটি সংবাদ মাধ্যমের নজরে পড়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকী সংবাদমাধ্যমকে ঘটনার কথা জানানোয় জরুরি বিভাগের চিকিৎসকদের রোষের মুখে পড়েন বৃদ্ধার পরিজনেরা।

সূত্রের খবর, প্রথমে কলকাতা মেডিকেল কলেজে কোনও পরিষেবা না পেয়ে এনআরএসে বৃদ্ধাকে নিয়ে যান তাঁর পরিবারের সদস্যরা। যদিও সেখানে যেতে না যেতেই স্বাস্থ্য সচিবের তৎপরতায় ফের রোগীকে কলকাতা মেডিকেলে ফিরিয়ে আনেন তাঁর ছেলেরা। প্রসঙ্গত, সত্যবালা কুণ্ডুর এ সমস্যা কোন‌ও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। প্রতিদিন কয়েকশো সত্যবালা সরকারি হাসপাতালে বেড না পেয়ে ঘুরে বেড়ান। বেসরকারি হাসপাতালের খরচ দেওয়ার ক্ষমতা তাদের নেই। এদিকে সরকারি হাসপাতালে চাইলেও সব সময় বেড‌ পাওয়া যায় না।

অবশেষে কোনও গতি না থাকায় শেষ পর্যন্ত এক প্রকার বাধ্য হয়েই তাঁরা দ্বারস্থ হন নার্সিংহোমে। তবে অধিকাংশের‌ই পরিকাঠামো প্রশ্নের মুখে। প্রশ্ন হল, রেফার রোগে একের পর এক মৃত্যুর পরে সম্প্রতি ঢাক বাজিয়ে রেফার নীতি তৈরি করেছে স্বাস্থ্য ভবন। তাহলে খাস কলকাতায় কেন সত্যবালাদের বেডের জন্য হাপিত্যেশ করতে হবে? আধ ঘণ্টা আগে যে বেড পাওয়া যাচ্ছিল না, আধ ঘণ্টা পরে কী ভাবে বেড মিলল? পকেটে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থাকলেই পরিষেবা পাওয়া যায় না। সত্যবালারা তার প্রমাণ। ফলে সত্যবালর যন্ত্রণা একা সত্যবালার নয়। বাংলা জুড়ে সত্যবালারা এই সমস্যার সম্মুখীন।

আরও পড়ুন- ‘মুখ্যমন্ত্রী ডাকলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করব’, হঠাৎ বোলবদল অর্জুনের