R G Kar Hospital: এখনও অচলাবস্থা হাসপাতালে, মামলাকারীর আর্জি না শুনেই ফেরাল হাইকোর্ট

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 03, 2021 | 1:32 PM

R G Kar Hospital: অক্টোবরের ২৫ তারিখ শুনানির সময়ে ঘণ্টা দেড়েক অনশনকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে আদালত। নিজেদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেও অনশন প্রত্যাহারে আর্জিও জানানো হয়।

R G Kar Hospital: এখনও অচলাবস্থা হাসপাতালে, মামলাকারীর আর্জি না শুনেই ফেরাল হাইকোর্ট
আরজি করের অচলাবস্থা উদ্যোগী হাইকোর্ট

Follow Us

কলকাতা: আরজিকর হাসপাতালের (R G Kar Hospital) পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। তাই ফের আদালতের দ্বারস্থ হলেন মামলাকারী। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। এই আর্জি নিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন জনস্বার্থ মামলাকারী। সেই আবেদন ফেরাল হাইকোর্ট। অবকাশকালীন বেঞ্চে নয়, রেগুলার বেঞ্চে আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

আরজিকর হাসপাতালের অচলাবস্থা কাটাতে উদ্যোগী হাইকোর্ট। ইন্টার্নদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। অনশন তুলে নেওয়ারও আবেদন জানানো হয়। তবে অনশনে অনড় ছিলেন পড়ুয়ারা। তাঁরা জানিয়েছেন, রোগীদের কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না।

অক্টোবরের ২৫ তারিখ শুনানির সময়ে ঘণ্টা দেড়েক অনশনকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে আদালত। নিজেদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেও অনশন প্রত্যাহারে আর্জিও জানানো হয়। পড়ুয়ারা নিজেদের দাবি স্বাস্থ্যসচিবকেই বলতে চান বলে জানান। প্রিন্সিপ্যালের পদত্যাগের দাবিতে তাঁরা অনড়। তাঁরা এই বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গেও কথা বলতে চান বলে জানান আন্দোলনকারীরা।

২৯ অক্টোবর স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক ধার্য করা হয়। সেই বৈঠকে কোনও একটি সমাধানসূত্র বের হবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু সেই সমাধানসূত্র বের হয় না। গতবারের শুনানির সময়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এজি হাইকোর্টে সওয়াল করেন, আরজিকর হাসপাতালে যেন মাইকিং, মিছিল করা না হয়। প্রতিবাদ যেন শান্তিপূর্ণ হয়। সকালে যখন আদালতকক্ষে মামলাটি ওঠে, তখন আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে কেউ উপস্থিত ছিলেন না।

মামলাকারীর পক্ষ থেকে বলা হয়, আন্দোলনের জেরে হাসপাতালের মূল গেটে জমায়েত হচ্ছে। ট্রাফিক বিঘ্নিত হচ্ছে। রোগী পরিষেবা যাতে ব্যাহত না হয়, তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি এ বিষয়ে কথা বলে আদালত। ২৯ অক্টোবর স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকের আগেও যেন রোগী পরিষেবায় কোনও ঘাটতি না ঘটে।

বিচারপতি দেবাংশু বসাকের তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য ছিল, “গত কয়েকদিনে ডিসচার্জ করা রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি।” বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে গত কয়েকদিনে। এই বিষয়টি নিজেই তুলে ধরেন বিচারপতি। মামলায় বলা হয়, অতিমারি পরিস্থিতিতে হাসপাতালে এইভাবে আন্দোলন চালানো যায় না। জুনিয়র চিকিত্সকরা সেই কাজটাই করছেন। এই পরিস্থিতিতে জুনিয়র চিকিত্সকরা কর্তৃপক্ষকে একটা বার্তা দিয়ে রাখলেন, যে তাঁরা আন্দোলনে আছেন, কর্মবিরতিতে নেই।

কিন্তু তারপরও জনস্বার্থ মামলাকারীর বক্তব্য, হাসপাতালের চিকিত্সা পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মামলাকারী। তবে ডিভিশন বেঞ্চ এদিন মামলা ফিরিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন: ‘বাংলার অবস্থা চিনের মতো হয়ে যাবে’, উপনির্বাচনে ৪ গোল খেয়ে হারের ব্যাখ্যা দিলেন দিলীপ

Next Article