AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

R G Kar: ‘ভাইয়ের চারটে বিয়ে, তারপরও… এক বোনও আত্মঘাতী হয়…’, আরজি কর কাণ্ডে ধৃতের দিদি যা জানালেন

R G Kar: ধৃতের দিদি বললেন,  "⁠কাল থেকে মনের ভেতরে কী চলছে বলতে পারব না। এক জন মেয়ে তো আমি, বুঝতে পারছি সবই। কিন্তু সরকার যা ভালো বুঝবে চাই করবে।" ধৃতকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার দাবি উঠছে সব মহল থেকে। সে ব্যাপারে প্রশ্ন করতেই কেঁদে ফেললেন দিদি। ফুঁপিয়ে বললেন, "যতই হোক ভাইতো।"

R G Kar: 'ভাইয়ের চারটে বিয়ে, তারপরও... এক বোনও আত্মঘাতী হয়...', আরজি কর কাণ্ডে ধৃতের দিদি যা জানালেন
আরজিকর কাণ্ডে ধৃতের দিদির বক্তব্য Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 11, 2024 | 11:40 AM
Share

কলকাতা:  সরু গলিতে ঘিঞ্জি বাড়ি। গা লাগোয়া সব। সেখানেই পাশাপাশি পাড়ায় দিদি-ভাইয়ের বাড়ি। ভাই  কিংবা বাপেরবাড়ির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নেই প্রায় ১৭ বছর হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি পাড়াতেই থাকেন। কিন্তু ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয় না খুব একটা বেশি। আরজি কর কাণ্ডে ধরা পড়ার আগেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। পাড়ায় মদ্যপ অবস্থায় প্রতিবেশীদের বাড়ি লাথি, মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ আগেও রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। বিয়ে করেছেন চারটে, বলছেন দিদিই। এরকমই নৃশংসকাণ্ড ঘটানোর অভিযোগে ভাই গ্রেফতার হয়েছেন, তিনি সে কাজ করে থাকতে পারেন, ভাবতেও পারছেন না দিদি। TV9 বাংলায় বলতে গিয়েই কেঁদে ফেললেন, “নিজের ভাই তো, কী বলি বলুন তো।”

ধৃতের চার বোন, এক বোন আত্মঘাতী হয়েছেন আগেই। বাকি দুই বোন পুলিশেই চাকরি করেন। বাড়ির লোক, পাড়া প্রতিবেশীদের কাছে কয়েক মাস আগে ধৃত জানিয়েছিলেন, তিনিও পুলিশে চাকরি পেয়েছেন। ধৃতের এই দিদিও তাই জানেন। ১৭ বছর আগে পাশের পাড়াতেই বিয়ে হয়েছে তাঁর। কিন্তু কোনওকারণে বাপের বাড়ি, পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ সে অর্থে নেই।

ধৃতের দিদি বললেন,  “⁠কাল থেকে মনের ভেতরে কী চলছে বলতে পারব না। এক জন মেয়ে তো আমি, বুঝতে পারছি সবই। কিন্তু সরকার যা ভালো বুঝবে চাই করবে।” ধৃতকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার দাবি উঠছে সব মহল থেকে। সে ব্যাপারে প্রশ্ন করতেই কেঁদে ফেললেন দিদি। ফুঁপিয়ে বললেন, “যতই হোক ভাইতো।”

ধৃতের এলাকায় যে খুব একটা ভাল নাম ডাক ছিল না, তা প্রতিবেশীদের কথাতেই স্পষ্ট। এক প্রতিবেশী বললেন, “মদ খেয়ে বাড়ির দরজায় লাথি মারে। তবে এখানে বেশিরভাগ সময় থাকতই না। বিয়ের ব্যাপারে আর কিছু বলার নেই। মদ থেকে বাড়িতেও প্রচুর চিৎকার চেঁচামেচি করত।”

পুলিশ সূত্রেও খবর, একাধিকবার বিভিন্ন সময় ব্যবহার খারাপ করেছে। তার আচরণও নাকি অদ্ভুত ছিল। আরজি কর কাণ্ডে ধৃতের পাড়ায় এখন জোর চর্চা। গলির মুখে অত্যুৎসাহী মানুষদের ভিড়। এত্ত নৃশংস, এত্ত কিচ্ছু করতে পারে পাড়ার ছেলেটা! বিস্মিত সবাই। তবে অভিযুক্তই একমাত্র নন, এই নৃশংসতার পিছনে আরও অনেকেই রয়েছেন কিনা, সে বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)