Raj Bhavan Abhiyan: তৃণমূল শিক্ষা সেলের রাজভবন অভিযানে তুলকালাম, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

Deeksha Bhuiyan | Edited By: Soumya Saha

May 17, 2024 | 5:02 PM

Raj Bhavan Abhiyan: রানি রাসমণি এভিনিউ থেকে শুরু হয় মিছিল। মিছিলের অভিমুখ রাজভবনের দিকে। হাতে কালো পতাকা। ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন-সহ প্ল্য়াকার্ড। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের পদত্যাগের দাবিতে ব্যানার হাতে রাজভবন অভিযান তৃণমূল শিক্ষা সেলের।

Raj Bhavan Abhiyan: তৃণমূল শিক্ষা সেলের রাজভবন অভিযানে তুলকালাম, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি
তৃণমূল শিক্ষা সেলের রাজভবন অভিযান
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: তৃণমূল শিক্ষা সেলের রাজভবন অভিযানে তুলকালাম। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন দুপুরে রাস্তায় নেমেছিল তৃণমূলের শিক্ষা সেল ও অধ্যাপক সংগঠন। রানি রাসমণি এভিনিউ থেকে শুরু হয় মিছিল। মিছিলের অভিমুখ রাজভবনের দিকে। হাতে কালো পতাকা। ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন-সহ প্ল্য়াকার্ড। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের পদত্যাগের দাবিতে ব্যানার হাতে রাজভবন অভিযান তৃণমূল শিক্ষা সেলের। পূর্ব ঘোষিত এই কর্মসূচি ঠেকাতে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল পুলিশ। রাজভবনের সামনে মোতায়েন ছিল প্রচুর পুলিশকর্মী।

তৃণমূল শিক্ষা সেলের মিছিল রাজভবনের গেট পর্যন্ত পৌঁছানোর কিছুটা আগেই ব্যারিকেড সাজিয়ে দেয় পুলিশ। আটকানো হয় তৃণমূল শিক্ষা সেলের রাজভবন অভিযান। শুরু হয় ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল শিক্ষা সেলের সদস্যরা। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কিছুটা ধস্তাধস্তির পরিস্থিতিও তৈরি হয় মিছিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক-অধ্যাপকদের। ধস্তাধস্তির সময় তৃণমূল শিক্ষা সেলের সভাপতি মইদুল ইসলাম অসুস্থ হয়ে পড়েন। জামা ছিঁড়ে যায় তাঁর। তাঁকে গাড়িতে করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ।

এদিনের মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন সুদেষ্ণা রায়ও। তাঁর বক্তব্য, ‘সাংবিধানিক পদ বা রাজনৈতিক পদ বা কোনও উচ্চ পদে বসে থাকার সুযোগ নিয়ে, যদি কেউ মেয়েদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করেন, তাহলে তার প্রতিবাদ দরকার। তদন্ত হওয়া দরকার। আমি সেই জন্যই প্রতিবাদ করতে এসেছি।’

তৃণমূল শিক্ষা সেলের রাজভবন অভিযানে পুলিশের ভূমিকা যা ছিল, সেটাকে পুলিশের ‘রাজধর্ম’ হিসেবেই ব্যাখ্যা করছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি রাজভবন অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, ‘পুলিশ সেখানে রাজধর্ম পালন করে এবং বিক্ষোভকারীদের আটকায়। পুলিশ তাদের রাজভবনের দিকে যেতে দিতে পারে না। এটা বিরোধীদের শেখা উচিত।’

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন রাজভবনেরই এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজ্যপাল বোস। রাজভবন থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, “এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। ভোটের বাংলায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। সত্য সামনে আসবে।”

Next Article