Rajeev Kumar: কেন বাংলাতেই এত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী? কমিশন দিল মোক্ষম প্রশ্নের সঠিক জবাব

Shrabanti Saha | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 05, 2024 | 2:12 PM

Chief Election Commissioner: কেন বাংলায় এত কেন্দ্রীয় বাহিনী? তবে কি বাংলাই সবথেকে বেশি অশান্তিপ্রবণ রাজ্য? এখানেই কি সবথেকে বেশি হিংসা হয়? এ প্রশ্ন একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে। চিফ ইসি রাজীব কুমারও বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত বিস্তারিত উত্তর দেন। 

Rajeev Kumar: কেন বাংলাতেই এত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী? কমিশন দিল মোক্ষম প্রশ্নের সঠিক জবাব
কেন্দ্রীয় বাহিনী (ফাইল ছবি)
Image Credit source: Facebook

Follow Us

কলকাতা: বাংলায় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ভারী বুটের আওয়াজ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রুটমার্চ শুরু করেছে। ৭ মার্চের মধ্যে রাজ্যে ধাপে ধাপে দেড়শো কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা রয়েছে। আপাতত প্রথম দফায় রাজ্যে এসেছে ১০০ কোম্পানি, পরের ধাপে আরও ৫০ কোম্পানি আসার কথা রয়েছে।
রাজ্যে নির্বাচনে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে দফায় দফায় বৈঠকে কমিশন। রাজ্যের মুখ্য সচিব ও ডিজির সঙ্গে ইতিমধ্যেই  বৈঠক সারা হয়ে গিয়েছে, বৈঠক হয়েছে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে বসেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তাঁকে সাংবাদিকদের তরফে অত্যন্ত কৌতুহলের একটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। কেন বাংলায় এত কেন্দ্রীয় বাহিনী? তবে কি বাংলাই সবথেকে বেশি অশান্তিপ্রবণ রাজ্য? এখানেই কি সবথেকে বেশি হিংসা হয়? এ প্রশ্ন একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে। চিফ ইসি রাজীব কুমারও বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত বিস্তারিত উত্তর দেন। 

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী সব রাজ্যেই গিয়েছে। গোটা দেশে যত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়েছে, তার মাত্র ১০ শতাংশ বাংলায় এসেছে। আর নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে যাওয়াটাই স্বাভাবিক বিষয়।” তিনি স্পষ্ট করে দেন, বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কোনও পক্ষপাতিত্ব নেই। তিনি বলেন, “রাজ্য পুলিশ অবশ্যই থাকবে। এবং রাজ্য পুলিশেরই প্রাথমিক ও প্রথম দায়িত্ব নির্বাচনে নিরাপত্তা ও শান্তি সুনিশ্চিত করা।”

কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের দায়িত্ব-বণ্টনের বিষয়টিও স্পষ্ট করেন রাজীব কুমার।  তিনি  জানান মুখ্যসচিব-ডিজির সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “২ দিনের দীর্ঘ আলোচনায় একটা বিষয় স্পষ্ট। ডিএম, এসপি-সহ প্রশাসনিক স্তরের আধিকারিকরা প্রাথমিকভাবে দায়বদ্ধ নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও হিংসামুক্ত করার ক্ষেত্রে। তাঁরা আমাদের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তাঁরা একাজ করবেনই, সঙ্গে নিজের অধঃস্তনদের দিয়েই সেই বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।”

কিন্তু তারপরও তো নির্বাচনে অশান্তি হয়? সে প্রশ্নের উত্তরে রাজীব কুমার বলেন, “হ্যাঁ, এরপরও নির্বাচনে কিছু না কিছু ঘটনা ঘটে যায়। আমরা আশা করছি, এবার সেরকম হবে না। যদি হয়, তাহলে জেলা প্রশাসনই বিষয়টা দেখে নেবে। যদি না দেখে, তাহলে আমরা জেলা প্রশাসনকে দিয়েই ব্যাপারটা দেখিয়ে নেব।”

Next Article