সিএএ-এরআরসি জারি করে বঙ্গে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা চলছে, কুণালকে বললেন রাজীব

ঋদ্ধীশ দত্ত |

Jun 12, 2021 | 9:23 PM

সূত্রের খবর, আজকের সাক্ষাতে রাজীব কুণালকে বলেছেন, এ রাজ্যে সিএএ ও এনআরসি জারি করে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা চলছে।

সিএএ-এরআরসি জারি করে বঙ্গে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা চলছে, কুণালকে বললেন রাজীব
ছবি- টুইটার

Follow Us

কলকাতা: “শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎ। রাজনীতির কোনও কথাই হয়নি।” শনিবার বিকেলে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের সঙ্গে ঘণ্টা দেড়েকের বৈঠকের পর এমনই মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানো এই নেতার বৈঠক ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই জল্পনার জাল বোনা শুরু হয় তারপর থেকেই। তবে বৈঠক শেষ হওয়ার পরই উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, আজকের সাক্ষাতে রাজীব কুণালকে বলেছেন, এ রাজ্যে সিএএ ও এনআরসি জারি করে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা চলছে।

অন্যদিকে, তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের প্রসঙ্গ রাজীব নিজে এড়িয়ে গেলেও সূত্র জানাচ্ছে, তিনি পুনরায় তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন। জবাবে কুণাল ঘোষ বলেন, বিষয়টি তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাবেন। নেত্রী যদি সবুজ সংকেত দেন তবে আগামী সপ্তাহেই ঘর ওয়াপসি ঘটতে পারে রাজীবের। কারণ দলবদল করলেও তিনি কখনই মমতা বা তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুব একটা জোরাল আক্রমণের পথে হাঁটেননি। ফলে তাঁকে ফিরিয়ে নিতে খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

সূত্র জানাচ্ছে, আজকের বৈঠকে বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরণ এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিয়ে কুণালের কাছে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। তিনি দ্বর্থ্যহীন ভাষায় জানিয়েছেন, ধর্মের জিগির তুলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি, সূত্রের দাবি অন্তত এমনটাই। আরও খবর, আজকের বৈঠকে ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদকে বলেন, তিনি ব্যক্তিগত কুৎসা করতে পছন্দ করেন না। তাই ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কটূ কথা বলা থেকে তিনি বিরত থেকেছেন।

আরও পড়ুন: ‘সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতার কথা দলকেও জানিয়েছি’, দেড় ঘণ্টার ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ শেষে বললেন রাজীব

রাজীবের এই দাবির সঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের মিল পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি দিল্লি সফরে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার পর এ রাজ্যে এনআরসি করতে হবে বলে দাবি করতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। তারপরই রাজ্য বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুকে বলতে শোনা যায়, “বাংলায় সিএএ হবেই। রাজ্য সরকার বাধা দিলে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।” এই সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদনও গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছিল TV9 বাংলা ডিজিট্যালে। ঠিক কোন পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে ৩৫৬ ধারা জারির কথা ভাবা হতে পারে তারই বিস্তারিত তথ্য সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ পেয়েছিল।

এই লিংকে ক্লিক করে সেই প্রতিবেদন পড়তে পারেন

 

Next Article