কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির পর এক বছরেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। এখনও জেলবন্দি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারেই রয়েছেন তিনি। কিন্তু সেখানে যথাযথ চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন না বলেই অভিযোগ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবীর। নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় মঙ্গলবার অর্পিতাকে ভার্চুয়ালি পেশ করা হয়েছিল আদালতে। সেই সময়েই বিচারকের কাছে এই সমস্যার কথা জানান অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। বিচারককে অর্পিতা বলেন, “দাঁতের সমস্যা হচ্ছে। যথেষ্ট চিকিৎসা হচ্ছে না। বারবার সমস্যা হচ্ছে।” জেলে চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে সমস্যার কথা জানালেও এদিন জামিনের আবেদন করেননি অর্পিতা।
প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করা হয়েছিল। তিনিও এদিন আর নতুন করে জামিনের আবেদন জানাননি। এর পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার কুন্তল ঘোষ, সৌভিক ভট্টাচার্য, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও অয়ন শীলকেও আদালতে পেশ করা হয়েছিল। শান্তনু ও অয়ন শীলকে সশরীরে আদালতে পেশ করা হয়েছিল, বাকিদের ভার্চুয়ালি। কুন্তল ঘোষ ছাড়া আর কেউই এদিন জামিনের আবেদন করেননি আদালতে। তবে কুন্তলের জামিনের আর্জির শুনানি আজ হয়নি। আগামিকাল সকাল সাড়ে ১০টায় কুন্তল ঘোষের জামিনের আবেদন শুনবে আদালত।
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী আবার আদালতে সওয়াল করেন, তাঁর মক্কেলের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানের পর থেকে সবকিছু তালাবন্ধ করে রাখা হয়েছে। এমনকী বেতনের অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি। ফলে সংসারের প্রয়োজনীয় খরচ করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলেও এদিন আদালতে জানান তাঁর আইনজীবী। প্রসঙ্গত, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরই তাঁকে বিদ্যুৎ দফতরের চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদিন বিচারক পার্থ-সহ বাকিদের ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।