কলকাতা: দুর্নীতির মামলায় এজেন্সি থেকে আর এক এজেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রসন্ন রায়কে। প্রথমে গ্রেফতারি, তারপর জামিন, তারপর আবার গ্রেফতারি, তারপর আবারও গ্রেফতারি! প্রসন্নর ভাগ্যের চাকা এভাবেই ঘুরছে। প্রসন্নকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আজ বৃহস্পতিবার নিম্ন আদালতে আবেদন করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি-র আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। আগামী ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জানা গিয়েছে, প্রসন্ন রায়ের ১৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। ৯৮টি সংস্থার মাধ্যমে টাকা সরানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
প্রথমে সিবিআই এসএসসি-র গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি মামলায় গ্রেফতার করেছিল প্রসন্ন রায়কে। পরে সেই মামলায় জামিন পান তিনি। এরপর তাঁর বাড়িতে নতুন করে তল্লাশি চালানো হয়। আবারও গ্রেফতার হন প্রসন্ন রায়। এবার ইডি। একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে। এবার ফের তাঁকে হেফাজতে নিল ইডি। গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি মামলায় তাঁকে জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা।
এদিকে, ইডি ও সিবিআই-কে নিয়োগ মামলা নিয়ে সর্বত্র প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট থেকে কলকাতা হাইকোর্ট, সব জায়গায় একই প্রশ্ন করা হচ্ছে, কেন এতদিন ধরে রাখা হচ্ছে অভিযুক্তদের? কেন এতদিন পর নতুন করে হেফাজতে নেওয়ার কথা মনে হচ্ছে?