কলকাতা: আরজি কর-কাণ্ডে তোলপাড় বাংলা। মহিলা চিকিৎসককে ‘ধর্ষণ’ ও ‘খুনে’-র ঘটনায় ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। তদন্ত চলছে একদিকে, কিন্তু যাঁদের পরিবারের মেয়ের সঙ্গে এই রোমহর্ষক ঘটনা, মুখ খুললেন সেই নির্যাতিতার বাবা। তাঁর দাবি, “মেয়েকে খুনের জন্য কেউ সুপারি দিয়ে থাকতে পারে।”
নির্যাতিতার বাবা বলেন, “পুরো চেস্ট বিভাগেরই তদন্ত চাইছি। আমার মনে হচ্ছে ভিতরের লোক আছে। মেয়ে বরাবর চাপে ছিল। ও রোগীদের চিকিৎসা করতে চাইত পারত না। সিনিয়র চিকিৎসকরা বাধা দিতেন। মেয়ে বলত আরজি করে যেতে ভাল লাগে না। ওর উপর চাপ ছিল। পাঁচজন ডিউটি করছে তার মধ্যে চারজন ছেলে একজন মেয়ে। সেটাতে অসুবিধা হত। ওকে চাপে রাখা হত। খুনের জন্য কেউ সুপারি দিয়ে থাকতে পারে।”
পানিহাটির নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের একমাত্র মেয়ে নির্যাতিতা। মা-বাবার একমাত্র সন্তান তিনি। ছোটবেলা থেকে মেধাবী হওয়ার দরুণ পরিবার চিকিৎসক বানানোর স্বপ্ন দেখেছিল। প্রথম চান্সেই ডাক্তারি পড়ার সুযোগও পান তিনি। তবে সুযোগ দিল না জীবন। দুর্বিসহ মৃত্যু হল তাঁর। যা মেনে নিতে পারছে না পরিবার। ঘটনার দিনই নির্যাতিতার মা অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘খুন হয়েছে তাঁর মেয়ে।’ আর বিধ্বস্ত বাবা বলেছিলেন, “আমার মেয়েটাকে তো আর ফিরে পাব না।” সত্যিই মেয়ে ফিরে পাবেন না তাঁরা। তবে দোষীর উপযুক্ত শাস্তি যাতে মেয়ের আত্মাকে শান্তি দেয় এই প্রার্থনা হয়ত করছেন সকলে।