নয়া দিল্লি: গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ঘটে যাওয়া ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয় রাজ্য সরকারকে। সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ভিতরে একজন তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। প্রশ্ন ওঠে রাজ্যের সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে, প্রশ্ন ওঠে। প্রশ্ন উঠেছিল শীর্ষ আদালতেও। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো থেকে শুরু করে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়েও বিস্তারিত তথ্য দিতে হয় রাজ্যকে। আজ প্রায় এক মাস পর ফের সেই মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে।
প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়েক বেঞ্চে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ওই মামলা রুজু হয়েছিল। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে সেই মামলার শুনানিও চলে বেশ কয়েকবার। ইতিমধ্যেই অবসর নিয়েছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তাই এবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে হবে শুনানি। নতুন প্রধান বিচারপতি বেঞ্চে, আজ সোমবার প্রথমবার আরজি কর মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
ইতিমধ্যেই সিভিক নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিয়েছে রাজ্য। সিভিক নিয়োগে কমিটি রয়েছে, সেটাই হলফনামায় জানিয়েছে রাজ্য। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নে রাজ্যকে বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গঠন করে দেওয়া হয়েছিল টাস্ক ফোর্স।
এদিকে, নিম্ন আদালতেও চলছে আরজি কর মামলা। সেখানে ৯০০ ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার কথা আদালতে জানিয়েছেন সিবিআই-এর আইনজীবী। ঘটনা পরবর্তী আটটি সিসিটিভি ক্যামেরা ও দিনের আটটি ক্যামেরার ২৪ ঘণ্টার ফুটেজ ফরেন্সিক পরীক্ষার পর খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির।