কলকাতা পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করে কুণাল বলছেন, “পুলিশ সব শক্তি দিয়ে তদন্ত করছিল। সেখানেই সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে কিছু বাম, কিছু অতিবাম, কিছু অন্ধ তৃণমূল বিরোধী, একাংশের চিকিৎসক যেভাবে মানুষের আবেগকে বিপথে চালিত করছিলেন তাতে আজকের রায় প্রমাণ করল কলকাতা পুলিশের তদন্ত সঠিক পথে ছিল। মাঝপথে সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কলকাতা পুলিশের তদন্তে মান্যতা পেয়েছে।”
বিস্তারিত পড়ুন: ‘কলকাতা পুলিশই ঠিক’, সঞ্জয় দোষী সাব্যস্ত হতেই কুণালের গর্জন, সুকান্তর মনে এখনও সংশয়
কোর্টরুমে এত ভিড় ছিল যে সঞ্জয়কে ঢোকাতে অসুবিধা হচ্ছিল। বিচারক অনুরোধ করেন সবাই আস্তে কথা বলুন। এখানে অভিযুক্তের নিরাপত্তা অনেক জরুরি। এরপর কোর্টরুমে চলে কথোপকথন।
বিস্তারিত পড়ুন: সঞ্জয় একটাই প্রশ্ন তুলল আদালতে, ‘কোথায় গেল রুদ্রাক্ষের ছেঁড়া মালা’? বড় জল্পনা সব মহলে
বিচারক অনির্বাণ দাস বসেন এজলাসে।
প্রশ্ন করেন, “অভিযুক্তের তরফে কেউ উপস্থিত আছেন কি না।” এরপরই উপস্থিত হন তাঁর আইজীবী। তাঁকে বিচারক জানিয়ে দেন, তিনিই দোষী। সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড হতে পারে বলে উল্লেখ করেন বিচারক। ১০ বছরের কম কারাদণ্ড হবে না, এ কথাও জানিয়ে দিলেন বিচারক।
কিন্তু এদিন আদালতে মুখ খুললেন সঞ্জয়। বললেন, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। প্রশ্ন তুললেন তাঁর গলায় থাকা রুদ্রাক্ষের মালাটা কোথায় গেল!
বিচারক অনির্বাণ দাস বলেন, “আপনি দোষী।” তবে আগামী সোমবার তাঁর কথা শুনবেন বলে সঞ্জয়কে জানান বিচারক। এদিন আরজি কর খুন-ধর্ষণ কাণ্ডে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টায় সঞ্জয়ের কথা শোনার পর রায় দেবেন বিচারক।
শিয়ালদহ কোর্টে পৌঁছলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। আরজি কর মামলার রায় ঘোষণার আগে তাঁরা আশা রাখছেন, দোষীরা সবাই শাস্তি পাবে, কাউকে রেয়াত করা হবে না। এদিনও তাঁর মেয়ের মৃত্যুর জন্য ফের মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তিলোত্তমার বাবা।
আরজি কর কাণ্ডের অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে জেল থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হল। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন আইনজীবী। আর কিছু বলার আছে কি না জানতে চান। তারপরও সিভিক চুপ ছিলেন বলেই সূত্রের খবর।
গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের দেহ। সেই ঘটনার পর ১৬২ দিন কেটে গিয়েছে। এখনও বিচারের আশায় বসে আছে তাঁর পরিবার। কয়েক মাস ধরে আদালতে রুদ্ধদ্বার কক্ষে হয়েছে শুনানি। তবে আজ, শনিবার ওপেন কোর্টে রায়দান হবে বলে জানিয়েছেন তিলোত্তমার পরিবারের আইনজীবী।
দীর্ঘ শুনানি পর্ব শেষ করে শনিবার রায়দান করবে শিয়ালদহ আদালত। সেখানে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছে কলকাতা পুলিশ। আরজি হাসপাতালে ভাঙচুরের পর প্রশ্ন উঠেছিল নিরাপত্তা নিয়ে। শনিবার তাই নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে কলকাতা পুলিশ।
শুধুমাত্র শিয়ালদহ আদালত চত্বরে প্রায় ২০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকছে। দুজন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার থাকছেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন তিনজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার, আটজন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার, ১৫ জন সাব-ইনস্পেক্টর, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর ২০ জন, ৫৫ জন মহিলা পুলিশ ও ৮০ জন কনস্টেবল।
তিলোত্তমার বিচারের আশায় রাতের পর রাত জেগেছে কলকাতা শহর। আজ, শনিবার রায় ঘোষণা করবে শিয়ালদহ কোর্ট। এদিন সকাল থেকে কোর্ট চত্বরে দেখা যাচ্ছে নজিরবিহীন ছবি। জড় হয়েছেন বহু মানুষ। কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ঘিরে ফেলা হয়েছে কোর্ট চত্বর। মোতায়েন করা হয়েছে ২০০ পুলিশ।