Record Beer Sold: তিন মাসে ৬৫০ কোটি টাকার বিয়ার খেয়েছে রাজ্যবাসী! তৈরি হবে আরও মদের কারখানা

Excise Department: তীব্র গরমে প্রতি বছরই রাজ্য জুড়ে বিয়ারের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। দাবদাহে অস্বস্তি কাটাতে সুরাপ্রেমীদের বড় একটা অংশ চুমুক দিতে পছন্দ করেন বিয়ারের বোতলে।

Record Beer Sold: তিন মাসে ৬৫০ কোটি টাকার বিয়ার খেয়েছে রাজ্যবাসী! তৈরি হবে আরও মদের কারখানা
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 22, 2022 | 5:34 PM

কলকাতা: আবগারি দফতরের হাত ধরে বিপুল বিনিয়োগ আসতে চলেছে রাজ্যে। চলতি অর্থবর্ষে ১২০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ আবগারি দফতরে আসতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে প্রশাসন সূত্রে। এর মধ্যে এক হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হচ্ছে Distilled Spirit তৈরির কারখানায়। আবগারি দফতর সূত্রে খবর, এই রকম তিনটি কারখানা তৈরি হতে চলেছে রাজ্যে। ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে কলকাতা সংলগ্ন অঞ্চলে তৈরি হতে চলেছে একটি বিয়ার তৈরির কারখানা। বাজারের এক জনপ্রিয় বিয়ার প্রস্তুতকারক সংস্থা ওই কারখানা তৈরি করবে বলে জানা গিয়েছে। গত আর্থিক বছরে রেকর্ড অঙ্কের মদ বিক্রি হয়েছিল রাজ্যে। সেই বিক্রি দেখে উৎসাহিত হয়েছে বিভিন্ন সংস্থা। গত বছরের বিক্রির কথা মাথায় রেখেই একাধিক সংস্থা আবগারি দফতরে বিনিয়োগ করছে বলে খবর আবগারি দফতর সূত্রে।

তীব্র গরমে প্রতি বছরই রাজ্য জুড়ে বিয়ারের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। দাবদাহে অস্বস্তি কাটাতে সুরাপ্রেমীদের বড় একটা অংশ চুমুক দিতে পছন্দ করেন বিয়ারের বোতলে। এ বছরও তার ব্য়তিক্রম হয়নি। বরং সুরাপ্রেমীদের মধ্যে বিয়ারের চাহিদা আরও বেড়েছে। সে জন্যই চলতি অর্থবর্ষে বিয়ার বিক্রি করে রেকর্ড আয় হয়েছে রাজ্যের আবগারি দফতরের। মার্চ, এপ্রিল এবং মে- এই তিন মাসেই রাজ্যে ৬৫০ কোটি টাকার বিয়ার বিক্রি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে, আবগারি দফতর সূত্রে। এই তিন মাসে রাজ্যে বিক্রি হয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ কেস বিয়ার। এই সংখ্যা বিক্রির নিরিখে নতুন রেকর্ড। যার জেরে লাভের মুখ দেখেছে আবগারি দফতর।

রাজ্য জুড়ে এখন প্রায় সাড়ে চার হাজার অফ শপ রয়েছে। এত কম সময়ে এত টাকার বিয়ার বিক্রি নজির এর আগে নেই বলেই জানাচ্ছেন আবগারি দফতরের কর্তারা। এই বিপুল পরিমাণ চাহিদার জেরেই দেখা দিয়েছিল বিয়ারের সঙ্কট। একাধিক দোকানে বিয়ার পাওয়া যাচ্ছিল না বলে জানা গিয়েছে। সেই চাহিদা মেটাতেই রাজ্যে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়েছে একাধিক সংস্থা। এই বিনিয়োগ হলে আগামী দিনে চাহিদা অনুসারে জোগান দেওয়া সহজ হবে বলে মনে করছেন আবগারি দফতরের কর্তারা।