West Bengal Assembly: আজ ১৯৬৫-র পুনরাবৃত্তি দেখল বিধানসভা, তফাৎ একটাই…
West Bengal Assembly: রাজ্যপালের ভাষণ শুরুর আগে থেকেই এ দিন বিক্ষোভ দেখান বিরোধীরা। ১৯৬৫ সালে অনেকটা এরকমই ঘটনা ঘটেছিল।
কলকাতা : ১৯৬৫ র পর ২০২২। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে একই ঘটনার সাক্ষী রইল রাজ্য বিধানসভা। সেই সময় রাজ্যের রাজ্যপাল ছিলেন পদ্মজা নাইডু। অধিবেশন শুরুর সময় রাজ্যপাল ভাষণ দিতে উঠলে বিরোধীদের তরফ থেকে এ ভাবেই স্লোগান শাউটিং শুরু হয়েছিল সে বার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।
শেষে ভাষণ না দিয়েই বেরিয়ে যান পদ্মজা নাইডু। যেহেতু তাঁর ছাপানো ভাষণ বিধানসভায় বিধায়কদের টেবিলে বিতরণ করা হয়ে গিয়েছিল, তাই রাজ্যপালের ভাষণ “লেইড” হয়ে যায় বিধান সভার নিয়ম অনুযায়ী। পরে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা পর্যন্ত হয়। ৫৭ বছর পর, একই রকম অভূতপূর্ব পরিস্থিতির স্বাক্ষী রইল রাজ্য বিধানসভা। পার্থক্য একটাই, এবার রাজ্যপাল নিজ মুখে ঘোষণা করেন, ভাষণ লে করা হল। এই পার্থক্য ছাড়া আজ হুবহু ১৯৬৫-র ছায়াই দেখল বিধানসভার ওয়াকি বহাল মহল।
ঠিক কী হল এ দিন
বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শুরুতে নিয়ম মেনেই ভাষণ দিতে যান রাজ্যপাল। আর তার আগে থেকেই বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। রাজ্যপাল সে সময় বাজেট ভাষণ পাঠ করবেন বলে অপেক্ষা করছিলেন। তখনই বিজেপি বিধায়করা স্লোগান তোলেন, ভারত মাতা কী জয়, ছাপ্পা ভোটের সরকার আর নেই দরকার।
এরই মধ্যে বিধানসভার অধ্যক্ষ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যপালের বক্তব্য সকলের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। সেটাই টেবিল করা হবে বলে জানান স্পিকার। তখনই রাজ্যপাল মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই বলেন, তিনি হতবাক হচ্ছেন। তিনি না বললে কী ভাবে তাঁর ভাষণ টেবিল হতে পারে?
ভাষণ পাঠ না করেই নেমে যেতে উদ্যত হন রাজ্যপাল। তাঁকে বাধা দেন তৃণমূলের বিধায়করা। রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর বিরোধীদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যপাল অন্তত দু লাইন ভাষণ পাঠের অনুরোধ করেন।