কলকাতা: এক সময় ‘জঙ্গি’ ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। কিন্তু সেই আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি যদি তৃণমূলে যোগ দেন তাহলে? কারণ, ভাঙড়ের রাজনীতিতে শওকত-নওশাদের দ্বন্দ্ব কারও অজানা নয়। মাঝে মধ্যেই দুই নেতা বিভিন্ন ইস্যুতে দোষারোপ করে থাকেন একে অপরকে। এই অবস্থায় যদি তৃণমূলে নওশাদ যোগ দেন তাহলে অসুবিধা হবে না ক্যানিং পূর্বের বিধায়কের? সোমবার টিভি ৯ বাংলা এই প্রশ্ন করতেই, চওড়া হাসি হাসলেন শওকত। তারপর আস্তে-ধীরে বুঝিয়ে বললেন সবটা। জানালেন, দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, তার মান্যতা প্রথমে।
বস্তুত, হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল তৃণমূলে যোগদানের দিনই মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বৈঠক করেন। প্রায় কুড়ি মিনিটের মতো বৈঠকের পর থেকেই নওশাদের দলবদলের জল্পনা আরও তীব্রতর হয়। প্রশ্ন ওঠে তবে কি সত্যিই তৃণমূলে যাচ্ছেন ভাঙড়ের বিধায়ক।
ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি যদিও বলেছেন, “নওশাদ সিদ্দিকি যদি তৃণমূলে যায় তাহলে শাসকদলের লস হবে।নওশাদ মমতাকে চমকে দিচ্ছে শুধু। ও চাইছে তৃণমূলে যোগ দেব না। তবে দু’চারটে সিট যদি পাওয়া যায় সেই চেষ্টা করছেন। তৃণমূলে যোগ না দিয়ে ওদের কাছ থেকে দু’চারটে সিট আদায় করতে চাইছে। এই প্ল্যানে উনি এগোচ্ছে বলে আমার মনে হয়।” যদিও, দলবদলের এই জল্পনা আগেই উড়িয়ে দিয়েছেন নওশাদ।
এরপর এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন শওকত মোল্লা। তিনি বলেন, “দল যদি শুভেন্দু অধিকারীকেও নেয় মাথা পেতে নেব। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা যে সিদ্ধান্ত নেবেন তাই কার্যকরী হবে।” তিনি এও বলেন, নওশাদ দলে এলেও বিরোধিতা করবেন না।