BJP Bengal: ১৮ জেলার দায়িত্ব পেলেন সতীশ ধনদ, ডানা ছাঁটা হল অমিতাভর?

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Sep 01, 2022 | 1:14 PM

BJP Bengal: গত সোমবার থেকে কলকাতায় তিনদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছিল বিজেপি। বিভিন্ন বিষয়ে দলীয় নেতাদের পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি বদল আনা হয়েছে সংগঠনেও।

BJP Bengal: ১৮ জেলার দায়িত্ব পেলেন সতীশ ধনদ, ডানা ছাঁটা হল অমিতাভর?
দায়িত্ব বাড়ল সতীশের

Follow Us

কলকাতা : তিনদিনের প্রশিক্ষণ শিবির শেষে বঙ্গ বিজেপির সংগঠনেও বেশ কিছু রদবদল করা হল। ১৮ টি সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব দেওয়া হল বিজেপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সতীশ ধনদকে। আদতে বঙ্গ বিজেপির আর এক নেতা অমিতাভ চক্রবর্তীর ক্ষমতায় কোপ বসানো হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অমিতাভ চক্রবর্তীকে নিয়ে আগেও ক্ষোভ দেখা গিয়েছে দলের অন্দরে, উঠেছে অভিযোগও। তার জেরেই এই বদল বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপির মোট সাংগঠনিক জেলার সংখ্যা ৩৯।

বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদটি সাধারণত আরএসএসের তরফ থেকে দেওয়া হয়। রাজ্য সভাপতির পরই সংগঠনে সবথেকে বেশি ক্ষমতা থাকে ওই সাধারণ সম্পাদকের। এ রাজ্যে সেই পদেই ছিলেন অমিতাভ চক্রবর্তী। তবে, কিছুদিন আগে উত্তর প্রদেশ থেকে সতীশ ধনদকে আনা হয়েছে বাংলায়। রাজনৈতিক মহলের অনুমান,  অমিতাভর বিরুদ্ধে বারবার নানা অভিযোগ সামনে আসায় দলের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রথমে সতীশ ধনদকে শুধুমাত্র আসানসোল সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এবার তিনদিনের প্রশিক্ষণ শিবির শেষে ১৮ টি জেলার দায়িত্ব দেওয়া হল তাঁকে। এর মধ্যে রয়েছে বর্ধমান, বীরভূমের মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলা। ফলে ওই সব জেলায় আর অমিতাভ চক্রবর্তীর কোনও ক্ষমতা থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গোয়ায় বিজেপির সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন সতীশ ধনদ। গোয়ায় নির্বাচনে সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। সেই সাফল্যের কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত তাঁকে বাংলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সামনেই বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতাকে তাই এ রাজ্যে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি।

এর আগে দিলীপ ঘোষ যখন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ছিলেন, তখন রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। সেই সময় তাঁর সহকারি হিসেবে কাজ করেছেন অমিতাভ চক্রবর্তী। কিন্তু পরে অমিতাভর বিরুদ্ধে দলের অন্দরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে। কেউ সরাসরি অভিযোগ তোলেন, কেউ আবার পরোক্ষভাবে। সেই কারণেই বিজেপির এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

Next Article