Sayantika Banerjee: ‘ভালবাসা থাকলে অভিমান থাকবে’, লোকসভায় প্রার্থী না হতে পেরে বলছেন অভিমানী সায়ন্তিকা

Sayantika Banerjee: প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটে বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন সায়ন্তিকা। কিন্তু, বিজেপির নীলাদ্রিশেখর দানার কাছে পরাজিত হন। ভোটে হারলেও কিন্তু দল তাঁর উপর আস্থা হারায়নি। বড় সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়।

Sayantika Banerjee: ‘ভালবাসা থাকলে অভিমান থাকবে’, লোকসভায় প্রার্থী না হতে পেরে বলছেন অভিমানী সায়ন্তিকা
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্য়ায় Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 12, 2024 | 6:45 PM

কলকাতা: যদিও জল্পনা ছিল বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে পারেন তিনি। কিন্তু, রবিবার ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন সভায় লোকসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম প্রকাশ করেনি দল। তারপরই শোনা যায় রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায়। যা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে বিস্তর জল্পনা ছড়ায়। তবে তিনি যে পদত্যাগ করছেন তা এদিন টিভি-৯ বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে অকপটেই বললেন সায়ন্তিকা। তবে দল প্রার্থী না করায় মনের কোণে যে অভিমানের মেঘ জমেছে তা আড়াল করলেন না টলিউডের এই অভিনেত্রী। 

খানিক অভিমানের সুরেই সায়ন্তিকা বলেন, “ভালবাসা থাকলে অভিমান থাকবে। একটা বিধানসভায় হেরে সাতটি বিধানসভায় এবার লোকসভা নির্বাচনে জিতে দেখাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জ আমাকে নিতে দেওয়া হল না। আক্ষেপ তো থাকবেই। এটাই আমার সবথেকে বেশি খারাপ লাগা।” 

প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটে বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন সায়ন্তিকা। কিন্তু, বিজেপির নীলাদ্রিশেখর দানার কাছে পরাজিত হন। ভোটে হারলেও কিন্তু দল তাঁর উপর আস্থা হারায়নি। বড় সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়। দলে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সেই পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে শোনা যেতেই তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা ছড়ায় রাজনৈতিক মহলে। এবার বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে এবার তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন অরূপ চক্রবর্তী। বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। 

সায়ন্তিকা বলছেন, “কাকে প্রার্থী করেছে বা কে জিতবে সেটা দল যেটা ভাল বুঝেছে সেটা করেছে। কিন্তু আমি শুধু এটাই বলতে চাই, হেরে যাওয়ার পরেও আমি বাঁকুড়াতে করে থেকেছি কাজ করেছি। ঘুরে বেড়িয়েছি মানুষের সঙ্গে থেকেছি। তাই খারাপ তো লাগছেই। কারণ আমি নিশ্চিত ছিলাম আমি প্রার্থী হব।” এরপরই খানিক খোঁচা দিয়ে বলেন, “বছর কয়েক আগে যখন দলের মধ্যে দোলাচল শুরু হয় তখন অনেকেই আমাদের দল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যায়। আমি কিন্তু তখনও দলের পাশেই ছিলাম। দলের সঙ্গে থেকেই রোদ ঝড় বৃষ্টিতে কাজ করেছি। তাই আমি আমার আক্ষেপের কথা দিদি ছাড়া কাকেই বলব।”