কলকাতা: শপথ জট ক্রমেই আরও পাকাচ্ছিল। রাজ্য-রাজভবন সংঘাতের রাস্তাও ক্রমেই আরও চাওড়া হয়েছিল। এরইমধ্যে ডেপুটি স্পিকারকে শপথ নেওয়ার জন্য ক্ষমতা প্রদান করে ফেলেছেন রাজ্যপাল। তা নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন চর্চা। তাই বরাহনগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেনের শপথ গ্রহণে আর কোনও বাধা আপাত দৃষ্টিতে রইল না।রাতেই সবুজ সংকেত দিয়েছে রাজভবন। কিন্তু, সংঘাত মিটল কি? রাজভবনের পদক্ষেপে পাল্টা ফুঁসছেন স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার। আশিসবাবু তো স্পষ্টতই না করে দিয়েছেন। সাফ বলেছেন, “কলকাতায় স্পিকার রয়েছেন, তিনি থাকতে আমি কেন? এটা আমি গ্রহণ করছি না।” এরইমধ্যে শুক্রবার দুপুর ২টো তে বিধানসভায় বসছে বিশেষ অধিবেশন। শপথ জট কাটতেই বিশেষ অধিবেশনে ডেকেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়?
স্পিকার কিন্তু জানিয়েছেন, বিধানসভার হাউস আর স্ট্যান্ডিং কমিটি মিলিয়ে যে ৪১ কমিটি রয়েছে, তার মেয়াদ ফুরিয়ে যাচ্ছে ৮ জুলাই। ফলে সেই কমিটি গুলোর বিষয়ে আলোচনার জন্য শুক্রবারের অধিবেশন। যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, রাজ্যপালের উপরে শপথ নির্ভরতা কাটাতেই আগামীকালের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। বিধানসভা কর্তৃপক্ষের অনেকে বলছেন, অধিবেশন চললে সেখানে শপথ বাক্য পাঠ করাতে পারেন স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকার। ফলে রাজ্যপাল নির্ভরতা কাটাতেই এই বিশেষ অধিবেশন।
ঘটনাচক্রে, এই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টো ৪ মিনিটে প্রকাশ্যে আসার পরে প্রায় ৬ ঘণ্টা ২০ মিনিটের ব্যবধানে (রাত ৮.২৬ মিনিট) রাজ্যপাল শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য ডেপুটি স্পিকার ক্ষমতা দিয়েছেন, তা সামনে এল। এ ক্ষেত্রে মনে রাখা ভাল, বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্পিকারের মন্তব্য কিন্তু ছিল যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ। স্পষ্টই বলেছিলেন, “রাজ্যপালকে ছাড়া বিধানসভা হেল্পলেস এটা ভাবার কোনও কারণ নেই।” এখন দেখার, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় আর রেয়াত হোসেন সরকারের শপথ ভাগ্য কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।