নয়া দিল্লি: সন্দেশখালি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টেক প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল সুপ্রিমকোর্ট। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের সিবিআই তদন্ত নির্দেশ খারিজ করার আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে সোমবারের ‘সুপ্রিম’ শুনানিতে একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ, রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে সিঙ্গল বেঞ্চের যে পর্যবেক্ষণ ছিল, রাজ্য সরকারের আবেদনের ভিত্তিতে সেই বক্তব্যকে রদ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের তরফে সওয়াল করা হয়, ইডি সন্দেশখালি যাওয়ার আগে রাজ্যকে জানায়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গিয়েছিল। তারপর ঘটনা ঘটেছে। এরপরও রাজ্য পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ২টি মামলা করেছে।
রাজ্যের তরফে আরও বলা হয়, হাইকোর্ট তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল, তাই শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা যায়নি। এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমের চাপ বাড়তে থাকে। রাজ্য পুলিশের ব্যর্থতা বলে অভিযোগ করা হয়। যা ঠিক নয়। রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে জানায়, হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়।
রাজ্য তরফে জানানো হয়, শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে মোট ৪২টি এফআইআর হয়েছে। শাহজাহান-সহ ৭জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্য সরকারই আদালতে গিয়ে ব্যাখ্যা চায়। রাজ্যের বক্তব্য, “দুর্ভাগ্যজনক ভাবে রাজ্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনছে সিবিআই।”
রাজ্য প্রশাসন এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সিঙ্গেল জাজর পর্যবেক্ষণে আপত্তি তোলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ভি। সিবিআই-এর তরফে অ্যাডিশনাল সলিসিটার জেনারেল এসভি রাজু বলেন, রেশন দুর্নীতির তদন্তে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। তারপর মারাত্মক ঘটনা ঘটে। সিবিআই-এর তরফে পাল্টা বলা হয়, শাহজাহানের বিরুদ্ধে ৪২ মামলা সত্ত্বেও গ্রেফতার করা হয়নি। শেখ শাহজাহান প্রভাবশালী নেতা। সিবিআই অভিযোগ করেন, স্থানীয় পুলিশের মদত ছাড়া শাহজাহানের লুকিয়ে থাকা অসম্ভব ছিল। এখন আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করলেও গুরুত্বপূর্ণ নথি দেওয়া হচ্ছে না। তারপরই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।